× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাতিয়ায় গ্রাহকের ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা গায়েব

বাংলারজমিন

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

হাতিয়া সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে এক মহিলা গ্রাহকের ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ শাখায়। তবে ব্যাংক ম্যানেজারের দাবি গ্রাহক চেকের মাধ্যমে নিজেই তার হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। এনিয়ে ব্যাংক পাড়ায় ও আশেপাশের ব্যবসায়ী হিসাব ধারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরকিং ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার খতিজা খাতুন নামে ৭০ বছর বয়সী এক মহিলা ২০১৭ সালে সোনালী ব্যাংক হাতিয়া উপজেলা পরিষদ শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব (নং-৮৪৩৩) খোলে। ওই মহিলার ৪ ছেলে, সবাই প্রবাসী। মায়ের একাউন্টে ছেলেরা বিভিন্ন সময়ে টাকা পাঠাতো। কেবল নিজের নাম লিখতে পারে এই মহিলা বিভিন্ন সময়ে টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যাংকের গার্ড ফরহাদ হোসেনের দ্বারস্থ হয়ে থাকে।
চেক পূরণ করে টাকা উত্তোলন করে গার্ড ফরহাদ সমুদয় টাকা ওই মহিলার হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে বখশিস নিয়ে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৬ই জানুয়ারি মহিলার স্বাক্ষর জাল করে কে বা কাহারা বাহক চেকের মাধ্যমে খদিজার হিসাব থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। পরদিন মহিলা টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে এসে জানতে পারে তার একাউন্ট থেকে তারেক নামে এক বাহক আগের দিন ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। এতে গ্রাহক খতিজা কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদ শাখার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান, বাহক চেকের মাধ্যমে খদিজা তার হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। তারেক নামের এক যুবককে তিনি বাহক চেক দিয়েছেন। যে চেকটির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে টাকা গায়েব করা হয়েছে সেই চেকটি দেখতে চাইলে ম্যানেজার বলেন, ডিজিএম স্যারের অনুমতি ছাড়া চেক দেখানো যাবে না। খতিজা আরো জানায়, গার্ড ফরহাদ জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাকে টাকা তুলে দিয়ে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাওলাত নেয় যা একমাস পর ফেরত দেয়ার কথা ছিল। ফরহাদ একমাস যাওয়ার আগেই নয় দিনের মাথায় অর্থাৎ ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা গায়েব হওয়ার পরদিনই আমাকে হাওলাতি টাকা পরিশোধ করে দেয়। এতে আমার ধারণা সেই আমার অজান্তে এই টাকা তুলে নিয়েছে।
এদিকে একাউন্ট থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা গায়েব হওয়ার প্রতিকার চেয়ে খদিজা সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের গার্ড ফরহাদকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, খদিজা খাতুনের অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর