নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা জহিরের অনুসারীদের হামলা ও গুলিতে ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় স্থানীয় খলিফারহাট বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকালে ওই ইউনিয়নের খলিফারহাট বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সোলাইমান (২৮), সুমন (২৩), মো. জসিম (৪৫), অহিদ উল্যা (৩০), মাসুদ (৩৫), মঞ্জু (২২), শান্ত (১০), জিয়া (২০), মনির আহম্মদ (৬০) ও সবুজ (২৩)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রাসেল সহ ৭ জন আদালতে জামিন চাইতে যান। আদালত রাসেল সহ ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। আদালত থেকে বের হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপন সহ অন্য আসামিরা সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খলিফারহাট বাজার সংলগ্ন কসাই বাড়ির সামনে তাদেরকে লক্ষ্য করে যুবলীগ নেতা জহিরের অনুসারীরা গুলি ছুড়ে। এতে বাজারের চায়ের দোকানদার সোলাইমন, অটোরিকশা চালক সুমন, মোটরসাইকেল মেকানিক জসিম উদ্দিন, অহিদ উল্যা, মাসুদ, মঞ্জু, শান্ত, জিয়া, মনির আহম্মদ ও সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপন জানান, বিকাল ৪টায় মাইজদী থেকে এলাকায় ফেরার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী কসাই জহির, রশিদ, রাসেল ও রহিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর অতর্কিত গুলি চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা খলিফারহাট বাজারের ৫০টিও উপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে বলেও অভিযোগ করেন শিপন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন- সন্ধ্যায় গোলাগুলির ঘটনায় আহত ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানবজমিনকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।