× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২৯ বছরে সবচেয়ে মন্থর

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার

১৯৯০ সালের পর এবারই চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে মন্থর। সোমবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০১৮ সালে চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৬ শতাংশ। চীনা অর্থনীতির এই ধীরগতির প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ডিসেম্বর নাগাদ তিন মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪ শতাংশ, যা আগের তিন মাস জুড়েও ছিল ৬.৫ শতাংশ।
এই উপাত্ত যদিও পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তবুও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগেরই যেন বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। বিশেষ করে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি আরো জটিল করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ।
সোমবারের ওই সরকারি উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, চীনের ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে কম। বেইজিং সরকারিভাবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নিয়ে যে উপাত্ত প্রকাশ করে, তা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দেশটির প্রবৃদ্ধির ধারা বুঝতে এই উপাত্ত সহায়ক বলে বিবেচনা করা হয়।
খবরে বলা হয়, চীনের অর্থনীতি শ্লথ হলে অ্যাপলের বিক্রিতে ভাটা পড়বে।
এই মাসের শুরুতেই সতর্কতা উচ্চারণ করেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য কোম্পানি সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে।
চীনের সরকার রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধির বদলে ঘরোয়া ভোগের ওপর আরো নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। চীনের নীতিনির্ধারকরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অর্থনীতির প্রতি সহায়ক পদক্ষেপ বৃদ্ধি করেছেন। মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি করতে অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে, কর কমানো হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বাধ্যতামূলক রিজার্ভের হার কমানো হয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকস চায়না’র অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান এভান্স বলেন, ২০১৮ সালের শেষ অবধি চীনা অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল। তবে অনেকের আশঙ্কার চেয়েও ভালো। এই বছরের দ্বিতীয় অর্ধের দিকে প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থনীতি আরেকটু শ্লথ হবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর