× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জা ফখরুল সম্পর্কে কাদের /তিনি সজ্জন, ভালো মানুষ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সজ্জন ও ভালো মানুষ উল্লেখ করে বলেছেন, মহাসচিব পদে পরিবর্তন আসবে কি আসবে না- সেটা বিএনপির বিষয়। এখানে আওয়ামী লীগের নাক গলানোর  প্রয়োজন নেই। এটা আমার পাল্টা রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। আমি ফখরুল সাহেবের পক্ষ নিলে ভেতরে-ভেতরে তিনি পার্সোনালি ঝামেলায় পড়বেন। গতকাল বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সজ্জন মানুষ, তা ছাড়া মানুষ হিসেবেও ভালো। তিনি আসলে দলের চাহিদা পূরণ করলেন কি না, সেটা দেখবে বিএনপি।

তিনি (মির্জা ফখরুল) দল করেন, তাই দলের পক্ষে অনেক কিছু বলছেন।
তিনি তো আর বিএনপির আবাসিক প্রতিনিধির মতো বক্তব্য রাখেন না। আমি মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে নোংরা ভাষায় কথা শুনিনি। এ সময় উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপিকে দেখলে শিল্পী জয়নুলের কাদায় আটকে পড়া গরুর গাড়ির মতো মনে হয়। কাদায় আটকে আছে, সেটা ভুলের কাদায়। বিএনপির এখনকার কথাবার্তা, আচরণে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কোনো ইংগিত বা ইশারা নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের মুখে শোচনীয় ব্যর্থতার অসংলগ্ন প্রলাপ আমরা শুনতে পাচ্ছি।

এই সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পাঁচটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি জিতেছে। সর্বশেষ সিলেটেও তারা জিতেছে। এখন কি কারণে বিএনপি অংশ নেবে না, এটা তাদের ব্যাপার। নির্বাচনে অংশ নেয়া তাদের অধিকার, এ অধিকার তারা প্রয়োগ না করলে সেটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আপনাদের মনে আছে ১৯৭০-এর নির্বাচনের কথা? সে সময় লিগ্যাল ফ্রেমের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আজকেও আমরা বিএনপির অবস্থানে থাকলে সব নির্বাচনে অংশ নিতাম। কোনো নির্বাচন বর্জন করতাম না। এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনে (বিআরটিসি) দুর্নীতির বিষয়ে কঠোরভাবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পালন করা হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যে বিআরটিসি’র বহরে ৬০০ বাস এবং ৫০০ ট্রাক যুক্ত হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিসিতে দুর্নীতির বিষয়ে কঠোরভাবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পালন করা হবে। সংস্থার গাড়িবহর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সফ্‌টওয়্যারভিত্তিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কল্যাণপুর, মতিঝিল ও গাবতলী ডিপোতে পরীক্ষামূলক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে।

এতে দুর্নীতি কমার পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটিসিকে লাভজনক করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করা হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের পথে যেসব বাধা রয়েছে তা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে দূর করা হবে। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসি’র বহরে ৬০০ বাস এবং ৫০০ ট্রাক যুক্ত হতে যাচ্ছে। এতে একদিকে বিআরটিসি’র সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে যাত্রী পরিবহনের সুযোগও সমপ্রসারিত হবে। এ সময় মন্ত্রী বিআরটিসির জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বৈঠকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভুইয়াসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিপো ম্যানেজাররা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর