× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

নবাগতদের কাছে হারে শুরু চ্যাম্পিয়নদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিতেছিল ঢাকা আবাহনী। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে আবার আবাহনীকে হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় নবাগত ক্লাব বসুন্ধরা। গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে এ দু’দলের দ্বৈরথে আবারো ধরাশায়ী বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই লড়াইয়ে বসুন্ধরা কিংস জিতেছে ৩-০ গোলে। হোম ভেন্যুর এ জয়ে দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল স্প্যানিয়ার্ড কোচ অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী নোফেলকে ২-১ গোলে এবং বসুন্ধরা কিংস শেখ জামালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে চলতি আসরে।
ঢাকার বাইরে ফুটবল মানেই দর্শকদের বাড়তি উন্মাদনা। নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামও সেই উন্মাদনা থেকে বাদ যায়নি। শুরু থেকে এদিন নিজেদের ভেন্যুতে আবাহনীর ওপর চাপ প্রয়োগ করে বসুন্ধরা।
বিশেষ করে নবাগত ক্লাবটির দুই ফুটবলার মতিন-সুফিল শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। আক্রমণের পসরা সাজানো কিংসকে যদিও ৪৩ মিনিটে  ভড়কে দিয়েছিল আবাহনী। পাল্টা আক্রমণে পেনাল্টি আদায় করে আকাশী-নীল শিবির। উল্টো স্রোতে পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ঢাকা আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। সানডে ভুল করলেও ভুল করেনি বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কিংসকে এগিয়ে নেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দীন চৌধুরী (১-০)। কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা ড্যানিয়েল কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিক থেকে গোল আদায় করেন গত মৌসুমে ঢাকা আবাহনীতে খেলা এই ডিফেন্ডার। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় একই ফরমেশনে খেলতে থাকে বসুন্ধরা কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় নবাগত ক্লাবটি। গোলদাতা মতিন মিয়া। বসুন্ধরার স্প্যানিয়ার্ড ডিফেন্ডার গোটরের বাড়িয়ে দেয়া বল সাইড ফ্লিকে মার্কোস এগিয়ে দেন মতিনের দিকে। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে বক্সের ভেতরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন ‘খ্যাপ’ মাস্টার এই ফরোয়ার্ড (২-০)। পুরো ম্যাচেই আবাহনীর মাঝমাঠের সমন্ময়হীনতা চোখে পড়েছে। বিশেষ করে আবাহনীর মাঝ মাঠের দুই কুশলী ফুটবলার প্রাণতোস কুমার দাস ও সোহেল রানা ছিলেন নিষ্প্রভ। ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা ও বেলফোর্ড বসুন্ধরা কিংসের জমাট রক্ষণ ভেদ করে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। উল্টো ৬৯ মিনিটে আরেক গোল খেয়ে বসে আবাহনী। বখতিয়ার দুশবেকভ বল এগিয়ে দেন কলিনদ্রেসকে। বল নিয়ে ডি বক্সের দিকে এগিয়ে গেলে সোহেলও এগিয়ে আসেন জায়গা কাভারে। সেই সুযোগে আলতো চিপে সোহেলকে বোকা বানিয়ে বল মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান কলিনদ্রেস। ততক্ষণে স্কোর বোর্ডে ৩-০। আর হোম ভেন্যুতে জয়টাও প্রায় পাকাপোক্ত করেন অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। তারপরে বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি মারিও লেমসের শিষ্যরাও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর