× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৫ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তির আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তখন তার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গৃহবন্দি দিন কাটাচ্ছেন। মৃত্যুর তিনদিন পর ২৭শে জানুয়ারি কোকোর মরদেহ দেশে আনার পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার জানাজায় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে নয়টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানী গোরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করতে যাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেলা ১১টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি। পারিবারিকভাবেও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআন খতম, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে আত্মীয়স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর ধরে কারাবন্দি তিনি। ফলে কারাগারে থেকেই ছেলের জন্য দোয়া করবেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া সারা দেশের নেতাকর্মীরা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবেন। ওদিকে লন্ডনে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবেন জিয়া পরিবারের বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১২ই আগস্ট, ১৯৭০। তার অগ্রজ তারেক রহমানের পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে যুক্ত হননি তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বিসিবি সভাপতির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়াপ্রেমী কোকো। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী জরুরি সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর তাকে মানি লন্ডারিং মামলায় ২০০৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি পান তিনি।  ২০০৮ সালের ১৭ই জুলাই সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন তিনি। এদিকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর কোকোর সাময়িক মুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর আদালতের ডাকে না ফিরলে তাকে পলাতক দেখিয়েই বিচার এবং সাজার রায় হয়; পলাতক থাকায় আপিলের সুযোগও পাননি তিনি। আইনি জটিলতায় বিদেশে অবস্থানকালে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার স্ত্রী ও দুই কন্যা মালয়েশিয়া থেকে লন্ডনে স্থানান্তর হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর