পানি শুকিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের লেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। আর সেই মাছ ওই এলাকায়ই খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। অফিস শেষে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দল বেঁধে তা কিনছেন। আর এ নিয়ে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রীতিমতো উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। আজও মাছ বিক্রি চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সংসদের লেকে প্রতি বছর মাছের পোনা ছাড়া হলেও এভাবে মাছ ধরা ও বিক্রির ঘটনা এই প্রথম। এর আগে বিভিন্ন সময়ে টিকিট বিক্রি করে সৌখিন মৎস্য শিকারিদের বড়শি দিয়ে মাছ ধরা চলতে দেখা গেছে। এই খাত থেকে একটি নিয়মিত আয় ছিলো সংসদ সচিবালয়ের।
লেক সংস্কারের পর আবারো নতুন পানি তুলে মাছের পোনা ছাড়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সংসদ ভবনের লেকটি সংস্কারের কাজ চলছে। এ কারণে লেকের পানি শুকানো হচ্ছে। আর পানি শুকানোর কারণে প্রতিদিনই ধরা পড়ছে রুই, কাতলা, বাইন, শোল, শিং-মাগুর, চিতল, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। অবশ্য আগেই লেকের মাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ বিক্রি থেকে সংসদ সচিবালয় পেয়ে থাকে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। টেন্ডার পাওয়া মাছ ব্যবসায়ী লেক থেকে মাছ ধরে নিয়ে সংসদের মূল ভবনের পূর্ব পাশে এমপি হোস্টেলের প্রবেশ মুখে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাছের অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। গতকাল বিকালে মাছের হাটে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।