ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক সমূহে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফের বিষয় তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচ সচিবের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অপর পাঁচজন হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইন সচিব।
বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, কয়েক বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা হতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাৎ হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যদিও ওই অর্থ নাগরিকদের গচ্ছিত অর্থ।
তাই নোটিশ অনুসারে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয় তদন্ত ও প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৯৫৩ সালের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালাউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সিটি ব্যাংক এন এ বাংলাদেশের সাবেক সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিকে কমিশনে রাখতে বলা হয়েছে নোটিশে।।