× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আল জাজিরার রিপোর্ট /মসজিদুল নববীর ইমাম কারাগারে ‘মারা গেছেন’

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদ-উল নববীর একজন ইমাম কারারুদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন। কারাগারে খুবই বেহাল অবস্থায় তাকে রাখা হয়। এমনকি নির্যাতনও করা হয়। এ থেকে তার মৃত্যু হয় বলে নির্বাসিত সৌদি অ্যাক্টিভিস্টদের বরাতে খবর দিয়েছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, শেখ আহমেদ আল-আমারি নামে ওই ইমাম মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরান কলেজের সাবেক ডিন ছিলেন। তিনি পাঁচ মাস ধরে কারান্তরীণ ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন প্রিজনার্স অব কনসাইয়েন্স এই তথ্য দিয়েছে। সংগঠনটি সৌদি আরবের ধর্মপ্রচারক ও ধর্মীয় স্কলারদের গ্রেপ্তারের ঘটনা নথিবদ্ধ করে থাকে।
সংগঠনটির অভিযোগ, ৬৯ বছর বয়সী এই ইমামের শারীরিক অবস্থা অগ্রাহ্য করে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আটক রাখে সৌদি কারা কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এএলকিউএসটি’র পরিচালক ইয়াহিয়া আসিরি বলেন, শেখ আল-আমারিকে আগস্টে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় সৌদি সরকার অনেক অভিযান চালায়। এতে আমারির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ইসলামী স্কলার সাফার আল-হাওয়ালিকেও আটক করা হয়। ৬৮ বছর বয়সী আল হাওয়ালি গ্রেপ্তারের কিছুদিন আগে ৩০০০ পৃষ্ঠার একটি বই প্রকাশ করেন। এতে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দেশের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনা করেছেন তিনি। খবরে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অ্যাক্টিভিস্ট যদিও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আল-আমারির মৃত্যু হয় বলে জানায়। তবে ইয়াহিয়া আসিরি বলেন, ২রা জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর আল-আমারিকে আকস্মিকভাবে দাবান কারাগার থেকে জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ মেডিকেল কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত করা হয়। আসিরির ভাষ্য, ‘আমার বিশ্বাস, অবহেলা নয়, বরং কারা হেফাজতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’ এই ইস্যুতে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি সৌদি আরব। অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এই ধরনের ইস্যুতে চাপে রয়েছে সৌদি আরব। এদিকে আরেক মুসলিম স্কলার সালমান আল-আওদাহর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন করেছেন সৌদি সরকারি কৌঁসুলিরা। তিনি নির্বাচন ও ক্ষমতা পৃথক্‌করণের দাবি তুলে আটক হন। এ ধরনের দাবি সৌদি আরবে বিপজ্জনক উস্কানি বলে বিবেচিত হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কারবাদী বলে পরিচিত সালমান আওদাহ আটক হন ১ বছর আগে। ওই সময়টাতে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন চালানো আরম্ভ করে সৌদি আরব। আটককৃতদের মধ্যে আরো রয়েছেন ইসলামী ধর্মপ্রচারক আওয়াদ আল-কারনি, ফারহান আল-মালকি ও মোস্তাফা হাসান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর