ভারতের দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু সেনা মঙ্গলবার বৃটেনের সাবেক রাণী ভিক্টোরিয়ার ১১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, রাণী ভিক্টোরিয়া ‘মুঘলদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করেছিলেন।’ এ খবর দিয়েছে পিটিআই।
১৮৩৭ সাল থেকে ১৯০১ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বৃটেন ও আয়ারল্যান্ডের রাণী ছিলেন ভিক্টোরিয়া। ১৮৭৬ সালে তিনি ‘এমপ্রেস অব ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারতের সম্রাজ্ঞী’ উপাধী গ্রহণ করেন।
হিন্দু সেনা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরজিত যাদব দিল্লির জন্তর মন্তরে ভিক্টোরিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘বৃটিশরা না এলে, ভারত আজ হাজার হাজার খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যেত। রাণীর অধীনেই বৃটিশরা ১৮৫৭ সালে রাজার অধীনস্থ বিভিন্ন রাজ্যকে একত্রিত করেছে। আমাদের আজ যা আছে তা বৃটিশদেরই অবদান। হোক সেটা আইন, রেলপথ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যালয়। অন্যরা যেভাবে আমাদের মন্দির ধ্বংস করেছে বৃটিশরা তেমনটা করেনি।’
যাদব আরও দাবি করেন, মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরুর মতো নেতারা বৃটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পেরেছেন।
কারণ বৃটিশ শাসন স্বৈরতান্ত্রিক ছিল না। তার ভাষ্য, ‘১৮৮২ সালে স্থানীয় স্ব-শাসনের সুযোগ দিয়ে ভারতীয়দের প্রথমবারের মতো মুক্তির স্বাদ দিয়েছে বৃটিশরা।’
হিন্দু সেনা’র এই নেতা দাবি করেন, বৃটিশ সেনাবাহিনী জাতপাতের বিভেদ করেনি। তার ভাষ্য, ‘বৃটিশরা মাহার রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছিল। এর আগে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে শুধু উচ্চবর্ণের লোকজনকেই সেনাবাহিনীতে নেওয়া হতো। পৃথিবীতে যদি কোনো ভদ্রলোকের জাত থেকে থাকে, সেটি হলো বৃটিশরা।’
প্রসঙ্গত, গত দুই বছর ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিনও উদযাপন করে আসছে হিন্দু সেনা।