× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড্রাগপ্রতিরোধী সংক্রমণ বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থার মতো

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১:৫৪ পূর্বাহ্ন

ড্রাগ বা ওষুধ-প্রতিরোধী রোগকে (ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট ডিজিজ) বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে দেখা উচিত বলে মনে করেন বৃটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে তিনি বৃটেনে এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণ শতকরা ১০ ভাগ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এসব কথা জানানোর কথা তার। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।  ড্রাগপ্রতিরোধী রোগ বা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণ মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো হুমকি বলে সতর্ক করেছেন তিনি। ম্যাট হ্যানকক আরো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, যদি সুপার-ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে না রাখা হয় তাহলে হিপ বা নিতম্বদেশের অপারেশন, সিজারিয়ান সেবা হয়ে উঠতে পারে ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। ডাভোসে তার প্রশ্ন তোলার কথা যে, যখন আপনার শিশুর আঙুল কেটে যায় এবং আপনি জানেন, বাসায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় কোনো এন্টিবায়োটিক নেই, তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে? প্রায় একশত বছর আগেও মানুষের অবস্থা এমন ছিল। তাই আমি চাই না যে, আমার সন্তানের ক্ষেত্রে ওই অবস্থা আসুক।

বৃটিশ সরকার বলছে, কি পরিমাণ এন্টিবায়োটিক সরবরাহ দিয়েছে সেটার দিকে না তাকিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় মূল্যায়ন করা হবে ওষুধ কারখানাগুলোকে। এ জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স ৬ মাসের মধ্যে ওইসব কোম্পানিকে আর্থিক সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নেবে। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হবে নতুন নতুন সব চিকিৎসা উদ্ভাবন করতে, বিশেষ করে যেসব রোগে ওষুধের কার্যকারিতা কম তা চিকিৎসায় এবং এমন চিকিৎসা জরুরিভিত্তিতে করা উচিত।
বৃটিশ সরকারের নিজস্ব ডাটা বলছে, ২০১৪ সালের পর বৃটেনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার কমেছে শতকরা ৭ ভাগ। খাদ্য উৎপাদনকারী পশুতে তার ব্যবহার কমেছে শতকরা ৪০ ভাগ। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ড্রাগ-প্রতিরোধী রক্তে সংক্রমণ বেড়েছে শতকরা ৩৫ ভাগ। এমন সংক্রমণে সারা দেহ আক্রান্ত হয়। এমন রোগ বা সংক্রমণ ২০২৪ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনার টার্গেট ধরেছেন ম্যাট হ্যানকক।
ড্রাগ-প্রতিরোধী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেয়া একটি বৈশ্বিক তহবিলের অর্থে যে ১৪টি গবেষণামূলক প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে সরকারের। একই সঙ্গে পশুপাখিতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার ২০২১ সালের মধ্যে কমিয়ে আনার জন্য নতুন টার্গেট ধরা হয়েছে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সেবার খাতে যেসব এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশনে দেয়া হয় তার এক-পঞ্চমাংশের বেশিই যথাযথ নয়। ড্রাগ-প্রতিরোধী সংক্রমণের পিছনে বৃটিশ সরকারে প্রতি বছর ৮ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড খরচ হয়। ম্যাট হ্যানকক মানুষের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার শতকরা ১৫ ভাগ কমিয়ে আনতে চান।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর