× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘চার’টি কাজ সমানতালে করে যাচ্ছেন পিয়া

ষোলো আনা

সাইফুল ইসলাম রিয়াদ
২৫ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

তিনি একাধারে অ্যাডভোকেট, ব্যবসায়ী। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি সর্বজন পরিচিত একজন মডেল। দেশ-বিদেশে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছেন বেশ। এর বাইরেও তার আরো একটি পরিচয় আছে। তিনি একজন উপস্থাপক। ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। জাঁকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের হয়ে করছেন উপস্থাপনা। এখানেও রাখছেন দক্ষতার ছাপ।

বলছি পিয়া জান্নাতুলের কথা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যারা  দেখে থাকেন তাদের কাছে পরিচিত একটা নাম।  পিয়া চান প্রেজেন্টার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ তাকে চিনুক। বাংলাদেশ থেকে এ স্থানে কেউ যায়নি। তাই সবকিছুর পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন ক্রিকেটের মতো  খেলার উপস্থাপনাকে পেশা হিসেবে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটা জায়গা যে মানুষ উপভোগ করছে। আমরা নিজেরাও উপভোগ করি। সো হোয়াই নট বিং দেয়ার? এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি চাই, ইন্টারন্যাশনালি এখান থেকে ক্রিকেটে কেউ প্রেজেন্টার হিসেবে যায়নি, আমি চাই এটা কাভার হোক।’

ক্রিকেটের সঙ্গে কেন জড়িত হয়েছেন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে পিয়া কথা বলেন সাবলীলভাবে। ‘নিঃসন্দেহে ক্রিকেট কম্পলিকেটেড খেলা। এখানে আসার পেছনে অনেক কারণ আছে। তবে সে বিষয়টা এখন আমি বলতে চাচ্ছি না। আর যেহেতু আমার ফ্যামিলি, বিজনেস আর মডেলিং সবকিছু এখানেই তাই এখানেই আলাদা কিছু ভাবতাম। আমার মনে হয়েছে ক্রিকেটার এমন একটা জায়গা যেটা মানুষ উপভোগ করছে।’ ব্যবসা, ওকালতি কিংবা মডেলিং সবকিছুর বাইরে পিয়া চেয়েছিলেন আলাদা কিছু করতে। এই আলাদা কিছু করার প্রত্যয় থেকেই উপস্থাপনাকে বেছে নিয়েছেন।
কিন্তু এই উপস্থাপনা করতে গিয়েই ট্রলকারীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বহুবার। এবারের বিপিএলেও তার একটি ড্রেস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে হাস্যরস। এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এদের আগ্রহ হচ্ছে শুধু মেয়েদের নিয়ে কথা বলা।  মেয়েরা ক্রিকেটের মতো একটা জনপ্রিয় জায়গায় কেন আসবে- এটা মেনে নিতে পারছেন না পুরুষরা।’ যখন এমন ট্রল দেখেন তখন পিয়া ভাবেন তিনি জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। জনপ্রিয়দের নিয়েই ট্রল করা হয় বলে যুক্তিও দিয়েছেন।

‘সব জায়গায় মেয়েকে নিয়ে কথা বলা একটা সেনসেশন হিসেবে কাজ করে। আর তার থেকেও বড় জিনিস কাজ করে ক্রিকেট, এটা বাংলাদেশের পছন্দের একটা জায়গা  সেখানে মেয়েরা কেন ঢুকছে। মেয়েদের কেন আস্তে আস্তে ডমিনেট করছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এটা পছন্দ করছে না।’ এভাবেই সমালোচনাকারীদের কড়া জবাব দিয়েছেন পিয়া।
সবাইকে পজিটিভ চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানিয়েছেন পিয়া। পিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে বিনোদনও। তার কাছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণটির খেলা দেখতে ভালো লাগে। আর উপস্থাপনা করা নিয়ে পিয়া বলেন, ‘ভালো- খুব ভালো, মজাও লাগছে। বিপিএল, বিপিএল’র সঙ্গে ক্রিকেট, ক্রিকেটের সঙ্গে এন্টারটেইনমেন্ট। টি-টোয়েন্টি আমার দেখতেও খুব ভালো লাগে।’  

পরিশেষে সমালোচনাকারীদের একটি বার্তাও দিয়েছেন পিয়া। ‘এসব উল্টা-পাল্টা ব্যক্তিদের বলতে চাই, আপনারা বাসায় বসে বসে  ফেসবুকিং করবেন আমরাও মজা নেবো। পাঁচবছর পর  দেখবেন অনেক পিছিয়ে আছেন, আর পিয়াকে দেখবেন ইন্টারন্যাশনাল প্রেজেন্টার হিসেবে। এখানেই আমার সাফল্য, এখানেই আপনাদের ব্যর্থতা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর