অতি উৎসাহেই প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা সৈয়দ সাইমন বিন নুর কনককে। শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুঁড়ির মালবাজার মহকুমার মুর্তি নদী সংলগ্ন চন্দ্রচুর ওয়াচ টাওয়ারের কাছে রাজ্য সড়কে একটি দাঁতাল হাতির আক্রমণে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই কয়েকজন সঙ্গীসহ কনক ডুয়ার্সে বেরাতে এসেছিলেন।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কনক ও তার সঙ্গীরা গাড়ি করে মূর্তি নদী সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে দলগাঁও যাচ্ছিলেন। রাস্তার উপর হাতি দেখতে পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন কনক। সাহস দেখিয়ে হাতিটির অনেকটা কাছে গিয়ে মোবাইলে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। ছবি তোলায় তিনি এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, হাতিটির মতিগতির উপর নজর রাখতে পারেননি। সহসাই হাতিটি তাকে আক্রমণ করে। প্রথমে শুড় দিয়ে আছাড় মারে।
পরে পা দিয়ে ডলে দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার সঙ্গীরা জানিয়েছেন।
কনকের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন এমন একজন জানিয়েছেন, তারা কনককে নামতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু কনক শোনেননি। এই ঘটনার খবর জানতে পেরে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে গত দুদিন ধরে পর্যটকদের সচেতন করতে মূর্তি নদী সংলগ্ন এলাকায় ও গরুমারায় মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে। কেউ মোবাইল ফোন দিয়ে যাতে বন্য জন্তুদের ছবি না তোলেন সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হাতি বা অন্য কোনও বন্য জন্তু রাস্তার উপর চলে আসলে সাধারণ মানুষ বা পর্যটক কেউই যেন কখনও সাহস দেখিয়ে সামনে না যায়। কনকের উপর হাতির আক্রমণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় গাড়ি চলাচল খুবই কমে গিয়েছে। হাতির আতঙ্কে পর্যটকরা বেশ আতঙ্কিত। কেউই গত দুদিন চন্দ্রচুর ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার সাহস পায়নি। মূর্তি নদী পর্যন্ত যাওয়ারও সাহস দেখাননি পর্যটকরা। এদিকে বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, নিহত পর্যটকের পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানালে তা বিবেচনা করা হবে।