× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেঘের রাজ্যে ওদের জীবন

ষোলো আনা

মারুফ কিবরিয়া, সাজেক থেকে ফিরে
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮শ’ ফুট উপরে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালি। মূলত রুইলুই পাড়া ও কংলাকের সমন্বয়ে সাজেক ভ্যালি গঠিত। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করতে সর্বদা লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। সাজেককে কেউ বলেন রাঙ্গামাটির ছাদ, আবার কেউ বলেন মেঘের রাজ্য। এখানে বাস করেন আদিবাসীরা। মূলত জুম চাষ তাদের জীবিকার প্রধান হাতিয়ার। পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে ওঠায় তাদের পেশায় এখন ভিন্নতার ছোঁয়া লেগেছে।
কেউ কাপড়ের ব্যবসা, কেউ কফি শপ আবার কেউ রিসোর্ট পরিচালনাও করছেন। নারীরাও পিছিয়ে নেই এতে। আবার পড়ালেখার পাশাপাশি বাবা-মাকে সহযোগিতার জন্য অনেক নারী করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসা।

সাজেকের রুইলুই পাড়ায় বাস, নাম জুলি। চাকমা সম্প্রদায়ের এই তরুণী দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। সে সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একটি কফিশপ। সকাল ও সন্ধ্যা দুই বেলায় জুলি ওই কফিশপে বসেন। ছুটির দিনে সারাদিনই থাকেন। সাজেক ভ্যালির অপরূপ সৌন্দর্য্যকে খুব কাছ থেকে দেখতে আসা মানুষের অনেককেই দেখা যায় জুলির চা-কফির দোকানে ভিড় করতে। অনেকের মুখে তার হাতে বানানো কফি-চায়ের প্রশংসাও শোনা যায়। স্থানীয় কাউকে চায়ের দোকানের কথা জিজ্ঞাস করলেই ঠিকানা দিয়ে দেয় মেঘালয় রিসোর্টের কাছে জুলির কফিশপের। চা পান করতে করতেই কথা হয় জুলির সঙ্গে। তিনি বলেন, এই দোকান চালিয়ে আমি আমার বাবা মাকে সাহায্য করি। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে দোকানে বসি। মাঝে মাঝে মাও আমার কফিশপে বসেন। তবে আমার ভালোলাগে বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর না হয়ে সংসারের জন্য কিছু করতে পেরে। জুলির মতোই আরেকটি চা-কফির দোকান নিয়ে বসেছেন কংলাক পাহাড়ে এশা নামের আরেক নারী। তবে এই সংগ্রামী নারী তার দোকানটি দিয়েই পুরো সংসার চালান। চার সন্তানের মা এশা। দু’জন স্কুলে পড়ে। আর দুজন এখনো ছোট। স্বামী চাষাবাদ করেন।
মূলত পর্যটকদের আসা যাওয়ার ওপরই চলে তার দোকান। অবশ্য থেমে থাকে না কখনো। এই দোকানের আয় থেকেই পুরো সংসার চলে এশার। পাহাড়ের এই সৌন্দর্য্য  দেখতে পাওয়া গেল আরেক সংগ্রামী নারীকে। তার নাম রুপাচি। তিনি থামি বানান। এটি বিক্রি করলে প্রতি থামিতে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায় বলে জানান। তবে তিনি মূলত চাষাবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। জুলি, এশা ও রুপাচির মতো সাজেকের পাহাড়ের কোলে এমন অনেক নারীই রয়েছেন যারা জীবন ধারণের জন্য নানা পেশায় যুক্ত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর