কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সোমবার শেষ হয়েছে। রাত নয়টার সময় ঘন্টা বাজিয়ে বইমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বইমেলায় এবার সেরা জনপ্রিয় প্যাভিলিয়ন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নটি তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনের প্রাসাদের আদলে। এই প্যাভিলয়নে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের ৪৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা। বইমেলার শেষ দিনে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার। পুরস্কার তুলে দেন গুয়াতেমালার ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিয়ো। সেরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রতিনিধির হাতে।
বিশ্বের বৃহত্তম এই বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড-র সুত্রে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার মেলায় ব্যবসা ভাল হয়েছে। লোকসমাগমেও তা অন্যান্য বছরকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত রোববার এই বইমেলায় উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস। এ নিয়ে সেমিনারে যোগ দেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা। এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেছেন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। আর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, কবি নজরুল ইস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া এবং লেখক সুভাষ সিংহ রায়। এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও যোগ দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, চীন, ইরান, কোস্টারিকা, স্পেন, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের ২১টি দেশ ও দেশের প্রকাশকেরা। যোগ দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশকরাও। থিম কান্ট্রি ছিল গুয়াতেমালা। এবার বইমেলায় সব মিলিয়ে ৮০০ স্টল হয়েছিল। এর মধ্যে ২০০টি ছিল লিটল ম্যাগাজিনের স্টল।