এসএনসি-লাভালিন বিতর্কে সঙ্কটে জড়িয়ে পড়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকার। মঙ্গলবার জোডি উইলসন-রেবোল্ড নামের একজন মন্ত্রীর অকস্মাৎ পদত্যাগের ফলে এমন বিতর্ক আরো জোরালো হয়েছে। এসএনসি-লাভালিন ইস্যুতে অনিয়মের বিচারে ওই মন্ত্রীকে ট্রুডোর অফিস চাপ দিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে সুস্পষ্ট জবাব চাওয়া হয়। এমন দাবি ওঠে বহুকণ্ঠে। এরপরই আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন ওই মন্ত্রী। এমন পদত্যাগকে বিস্ময়কর ও হতাশাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে কানাডার পত্রিকা ফিলস্টার।
এতে বলা হয়, এসএনসি-লাভালিন ইস্যুতে ফৌজদারি বিচার চলছে কানাডায়।
ওই বিচারে হস্তক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর অফিস থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসএনসি-লাভালিন হলো কানাডার মন্ট্রিল ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন দেশে নির্মাণ কাজে অংশ নিয়ে থাকে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের পদ্মাসেতু ইস্যুতে তাদের নাম উঠে এসেছিল। তা নিয়ে এদেশে ব্যাপক বিতর্ক আছে। ফিলস্টার লিখেছে, লিবিয়ায় ক্ষমতায় থাকা সাবেক স্ট্রংম্যান মুয়াম্মার গাদ্দাফি আমলে লিবিয়ার কাছ থেকে সরকারি কাজের চুক্তি বাগিয়ে নেয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ঘুষ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক কানাডায়। বিষয়টি আদালতে উঠেছে। সেই বিচারে জোডি উইলসন-রেবোল্ডকে দিয়ে হস্তক্ষেপের জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে। তাদেরকে এ বিষয়ে পরিষ্কার জবাব দিতে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
কানাডার আদিবাসী বিষয়ক ফার্স্ট এটর্নি জেনালে জোডি উইলসন-রেবোল্ড। পরে তাকে করা হয় আইনমন্ত্রী। তিনি মঙ্গলবার টুইটারে আকস্মিত ঘোষণা দেন ভারি হৃদয়ে তিনি মন্ত্রীপরিষদ ত্যাগ করছেন। তার এ ঘোষণায় বিস্মিত, হতবাক জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, আমার সরকার যথাযথভাবে এবং সব আইন অনুসরণ করে কাজ করেছে। গত মাসে জোডি উইলসন-রেবোল্ডকে পদমর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর অর্থ নয় যে, তাকে ট্রুডোর সরাসরি আনুগত্যে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।