× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবার শাহ আরফিন টিলায় পুলিশের লাল পতাকা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় অহরহ ঘটছে শ্রমিক নিহতের ঘটনা। গত দুই দিন ধরে শাহ আরফিন টিলায় শ্রমিক নিহত রোধ, অবৈধ ও বিপজ্জনকভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং-এর পাশাপাশি থানা পুলিশ হযরত শাহ আরফিন (রহ.) মাজারের আশপাশে লাল নিশানা উড়িয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনামূলক সভাও করা হয়েছে। এরপরও মাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে কেউ পাথর উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেছেন থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়- সোমবার সকালেও শাহ আরফিন টিলায় পাথর ধসে আবদুল কাইয়ূম (৪০) নামে এক শ্রমিক মারা গেছে। নিহত পাথর শ্রমিক আবদুল কাইয়ূম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের মৃত আলকাছ উল্লাহর ছেলে। নিহতের স্ত্রী তাহেরা বেগম বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় জালিয়ারপাড় গ্রামের আবুল হোসেনসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘোষণা দেয়ার পরও যারা টিলা কেটে, গর্ত করে বোমা মেশিন ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম। শাহ আরফিন টিলায় দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় পাথরখেকোদের চলছে পাথর লুটপাটের মহোৎসব। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কোম্পানীগঞ্জ বেশ কিছু দিন আগে শাহ আরফিন টিলায় অবস্থিত শাহ আরফিন মাজারের প্রবেশমুখে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগান। সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঘনঘন অভিযান এমনকি পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরও থেমে নেই অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলন। শাহ আরফিন টিলার যত্রতত্র গর্ত করে ও বোমা মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত পাথর। পাথরখেকোদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে হযরত শাহ আরফিন (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকা। অবৈধভাবে মাজার ঘেঁষে পাথর উত্তোলনের ফলে যেকোনো সময় হযরত শাহ আরফিন (রহ.) মাজার ধসে পড়তে পারে। আর সেই মাজারের ঠিক পশ্চিম পার্শ্বে ইসনাত আলী ও কবির, পূর্ব পার্শ্বে আফসার ও আবদুর রহিম, উত্তরে আবুল ও দক্ষিণে আলী নুর দীর্ঘদিন যাবৎ পাথর উত্তোলন করছেন। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা মাইকিং করানো হয়েছে। ওলির মাজার রক্ষার্থে মাজারের চতুর্দিকে লাল নিশানা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মাজার সংলগ্ন মাঠে থানা পুলিশের উদ্যোগে অপরাধ প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অসংখ্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা পাথর উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর