এমন হার শেষে কোনো অজুহাত দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। গতকাল নেপিয়ারে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই এই হার। তবে প্রস্তুতির ঘাটতির কথাও উঠে আসে তার কণ্ঠে। বলেন, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত হতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। আদতে বিমান থেকে নেমেই মাঠের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন বাংলাদেশ দলের শীর্ষ তিন তারকা মাশরাফি, তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ব্যস্ততার কারণে আর দলের বাকিরাও প্রস্তুতির তেমন সুযোগ পাননি। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্ক স্টেডিয়ামের উইকেটে সাধারণত নিয়মিত রান পান ব্যাটসম্যানরা। গতকাল যে উইকেটে খেলা হয় সেটাও ব্যাটিং-বান্ধবই ছিল।
কিউইদের ব্যাটিংয়ে যা আরো পরিষ্কার হয়। গতকাল টসে জিতে ব্যাটিংই বেছি নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। তবে মাত্র ১৭.২ ওভারে দলীয় ৭১ রানে পঞ্চম উইকেট খুইয়ে বড় পুঁজির সম্ভাবনা শেষ হয় বাংলাদেশের। টাইগারদের লজ্জা বাড়তে পারতো। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও সাইফুদ্দিনের ৮৪ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ২০০ রানের কোঠায় পৌঁছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ে খারাপ করেছি। শুরুতেই বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের এখন ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি কাজ করতে হবে।’ ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটি আছে। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নামার আগে নিউজিল্যান্ড সফরে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সুযোগই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পাননি। তিন ভাগে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে ওয়ানডের প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে হয়েছে দ্রুতই। প্রস্তুতি ম্যাচটা যখন হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ দলের একটি অংশ নিউজিল্যান্ডের পথে উড়োজাহাজে। কোনো মতে একটা একাদশ দাঁড় করিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে হয়েছে। মাশরাফি বলেন ‘এই কন্ডিশনে খেলাটা আমাদের জন্য একটু কঠিন। দেশের সঙ্গে ৭ ঘণ্টার সময়ের পার্থক্য। কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে এখানে এলে ভালো হতো। কন্ডিশনের সঙ্গে ঠিকমতো খাপ খাওয়াতে পারতাম।’ ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করলেও বোলারদের প্রশংসা করতে ভোলেননি মাশরাফি। তবে ২৩২ রানটা যে তাদের সহায়ক কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে কিছুই নয় সেটি স্পষ্ট করেই বলেন তিনি। গতকাল ২৩৩ রানের টার্গেটে ৪৪.৩ ওভার ব্যাট করতে হয় কিউইদের। আর মাশরাফি বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে বোলিংটা আজ (গতকাল) ভালো হয়েছে। কিন্তু ২৩২ রানটা তো কোনোমতেই যথেষ্ট ছিল না।’ ৮.৩ ওভারের স্পেলে মাশরাফির নিজের ইকোনমি গড় ছিল ৩.৮৮। অপর পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভারের স্পেলে ৪.৫০ ইকোনমি গড়ে দেন ৩৬ রান।