× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর / হার নিয়েই সিরিজ শুরু টাইগারদের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

নিউজিল্যান্ড সফরে সব ফরমেট মিলিয়ে ২১ ম্যাচে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। গতকাল হার শেষে তা ২২-এ পৌঁছলো। বড় ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ফিল্ডিংকালে সুযোগ হাতছাড়া করলে কী হয়? তা আরো একবার টের পেল টাইগাররা। ব্যক্তিগত ২৭ রানে কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করতে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার-সাইফুদ্দিন। আর হার না মানা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয় এতে দেন গাপটিলই। যথারীতি হার দিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। গতকাল নেপিয়ারে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে কিউইদের কাছে আট উইকেট হার দেখে মাশরাফি বাহিনী। ম্যাকলিন পার্ক মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাটিং শেষে ৭ বল বাকি রেখে বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে যায় ২৩২ রানে ।
মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া ৫০-ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। শীর্ষ চারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহীমের সাকুল্যে সংগ্রহ ১১ রান। জবাবে ৩৩ বল অব্যবহৃত রেখে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। নিজ মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে মাত্র ৪৭ রান করা মার্টিন গাপটিলের ফর্ম নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন। আর গতকাল ম্যাচ শেষে ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন মার্টিন গাপটিল। ১১৬ বলের ইনিংসে গাপটিল হাঁকান ৮টি চার ও চারটি ছক্কা। নেপিয়ারে ২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে কিউইদের শুরুটা ছিল রয়ে-সয়ে। শুরুর পাঁচ ওভারে ১৭ ও দশ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২ রানে। আর ১৩.১তম ওভারে দলীয় ৫০ রানে জীবন পাওয়ার পর ব্যাটে ধার বাড়ে গাপটিলের। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ডেলিভারি ডিপ স্কয়ার লেগের দিকে ঠেলে দিয়ে দুইরান নিতে যান কিউই ওপেনার হেনরি নিকোলস ও গাপটিল। বল যায় ফিল্ডার সৌম্য সরকারের হাতে। কিন্তু বোলারের প্রান্তে দুর্বল এক থ্রো করলেন সৌম্য। দুই ড্রপে বল যখন সাইফুদ্দিনের হাতে তখনও ক্রিজের অনেকটাই বাইরে গাপটিল। কিন্তু বল ধরে স্টাম্প ভাঙতে পারলেন না সাইফুদ্দিন। পরে এই জুটি ক্রিজে টিকে যায় ২২.২ ওভার পর্যন্ত। দলীয় ১০৩ রানে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে নিকোলসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। টাইগাররা দ্বিতীয় সাফল্যটা পায় দ্রুতই। ২৮.৫তম ওভারে দলীয় ১৩৭ রানে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন অপর অফস্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে অনায়াস জয় নিয়েই ক্রিজ ছাড়েন গাপটিল ও রস টেইলর। নিজ মাটিতে (হ্যামিল্টন) ২০১৫ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন গাপটিল।
এর আগে টস জিতে অশিদাযকের ব্যাটিং নেয়ার সিদ্ধান্তকে দ্রুতই প্রশ্নের মুখে ফেলেন সদ্য বিপিএলের ফাইনালে অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম ইকবাল। যদিও এতে কৃতিত্বটা কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টেরও। ইনিংসের মাত্র অষ্টম বলে দলীয় এবং ব্যক্তিগত ৫ রানে বোল্টের ডেলিভারিতে কিউই উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন তামিম। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১ রানে উইকেট খোয়ান অপর ওপেনার লিটন দাস। দুর্দান্ত গতিতে লিটনের স্টাম্প উপড়ে নেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি। আর দেশের অন্যতম সুগঠিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের আউটের ধরনে ছিল আত্মবিশ্বাসের অভাব। অফস্টাম্পে শরীরের কাছাকাছি দেয়া বোল্টের দুরন্ত গতির ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে যান মুশফিক। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প। এতে অষ্টম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২/৩-এ। অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে বাহারি সব শট খেলছিলেন সৌম্য সরকার।  কিন্তু  ২ বলের ব্যবধানে হেনরির দেয়া এক বাউন্সারে পুল হাঁকাতে গিয়ে সময়ের হেরেফেরে ফিরতি ক্যাচ দেন সৌম্য। এতে মাঠে মারা যায় সৌম্যর প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসটি। ২২ বল মোকাবিলায় ৩০ রানের ইনিংসে সৌম্য হাঁকান ৫টি চার ও একটি ছক্কা। আর ১৭.২তম ওভারে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে ৭১/৫ সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। পরে অল্প ব্যবধানে সাব্বির রহামন ও মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট খোয়ালে ২৭ ওভার শেষে ১৩৭/৭ সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা বাড়ে বাংলাদেশের। ২৭ বলের মারকুটে ইনিংসে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করেন মিরাজ। আর মিরাজের ইনিংসটি থামে বড় শট হাঁকাতে গিয়েই। তবে অষ্টম উইকেটে ৮৪ রানের জুটিতে ইনিংস সামাল দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এতে ২৩৩ রানের ‘নাক বাঁচানো’ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ১৫০ কিমি. গতির পেসার লকি ফারগুসনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন। তিনমাস আগে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া মিঠুনের ১৪ ম্যাচে এটি তৃতীয় অর্ধশতক। ক্রাইস্টচার্চে ১৫ই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দিবাগত রাত ৪টায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: বাংলাদেশ (ব্যাটিং)
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভার; ২৩২ (তামিম ৫, লিটন ১, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৫, মিঠুন ৬২, মাহমুদুল্লাহ ১৩, সাব্বির ১৩, মিরাজ ২৬, সাইফুদ্দিন ৪১, মাশরাফি ৯*, মোস্তাফিজ ০, বোল্ট ৩/৪০, ফারগুসন ২/৪৪, স্যান্টনার ৩/৪৫, হেনরি ২/৪৮)।
নিউজিল্যান্ড: ৪৪.৩ ওভার; ২৩৩/২ (গাপটিল ১১৭*, নিকোলস ৫৩, উইলিয়ামসন ১১, টেইলর ৪৫*, মাহমুদুল্লাহ ১/২৭, মিরাজ ১/৪২)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর