× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এখন ৪ সংস্থার অনাপত্তিতেই ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

এখন থেকে ১৬টি সংস্থার পরিবর্তে মাত্র চারটি সংস্থার অনাপত্তির ভিত্তিতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)সহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলো। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর সমন্বয়ে ‘রাজউক-চউক-এর সেবা সহজীকরণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দীর্ঘদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা যুগান্তকারী কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো আমাদের অন্যান্য যেসব নগর কর্তৃপক্ষ রয়েছে সেগুলো থেকে ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন নিতে হয়। এতদিন এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ১৬টি স্তর অতিক্রম করতে হতো। এই স্তরগুলো অতিক্রম করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো। আমরা দেখেছি গতানুগতিকভাবে যে ১৬টি স্তর অতিক্রম করতে হতো এর কোনো আবশ্যকতা নেই।
এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৬টি স্তরের পরিবর্তে ৪টি স্তর প্রয়োজন হবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা ১২টি স্তরকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। এই ১২টি স্তরের কোনো প্রয়োজন নেই। এখন ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ, গ্যাস সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পুলিশ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ১২টি সংস্থার অনুমোদন আর প্রয়োজন হবে না। গণপূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নিতে হবে। ভবনের উচ্চতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি নিতে হবে। তবে এটাকেও আমরা সহজ করে দিয়েছি। যে এলাকায় বিমান চলাচলের পথ নেই সেই এলাকা নির্ণয় করে এত সহজ করে দেব যে, কর্তৃপক্ষ ম্যাপটাকে ফলো করে প্ল্যান দিতে পারবেন। এই অঞ্চল বিমান চলাচলের জায়গা নয়, এ বিষয়ে একটা গেজেট নোটিফিকেশন লাগবে। এটি আমরা দু’একদিনের মধ্যে সম্পন্ন করবো। যেখানে বিমান চলাচল নেই, সেখানে অনাপত্তিপত্র আনতে যেতে হবে না। তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিশেষ বিশেষ এলাকা বা স্পর্শকাতর এলাকার পাশে কোনো ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর অনাপত্তি লাগবে। আর ১০ তলা ভবনের ঊর্ধ্বে হলে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি লাগবে। এ ছাড়া কোনো প্রয়োজন নেই। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, একটা প্ল্যান পাসের জন্য সব প্রক্রিয়া শেষ করতে আগে সর্বোচ্চ সময় লাগতো ১৫০ দিন। এই ১৫০ দিন থেকে আমরা কমিয়ে ৫৩ দিনে নিয়ে আসছি। তাহলে কত বড় পরিবর্তন নিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে ব্যয় কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঠিকমতো হলে আপনি ৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট পেয়ে যেতে পারেন। আমরা সর্বোচ্চ সীমাটা করেছি ৫৩ দিন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর