শুধু মেধাবীদের দিয়ে দেশ পরিবর্তন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মেধার সঙ্গে মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধের সমন্বয় থাকলে পরিবর্তন সম্ভব। গতকাল বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরে আয়োজিত শ্রোতা সম্মেলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপ, সহনশীলতা ও শান্তি এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার পালন করা হয়েছে বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৯। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ বদলে গেছে। আমরা এ বদলে যাওয়ার অভিযাত্রায় বাংলাদেশকে আরো নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সেই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে, উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে হলে উন্নত জাতি প্রয়োজন। শুধু মেধাসম্পন্ন মানুষ দিয়ে দেশ পরিবর্তন হয় না।
মেধার সঙ্গে যদি মূল্যবোধের সমন্বয় এবং দেশাত্মবোধের সমন্বয় না হয়, তাহলে শুধু মেধাসম্পন্ন মানুষ দিয়ে সবকিছু হয় না। গণতান্ত্রিক সমাজে সংলাপ জরুরি। কিন্তু বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, শুধু রাজনীতিই নয়, যেকোনো সংকট সমাধানে সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প নেই। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সবাইকে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে অহেতুক রাজনৈতিক বিভ্রান্তি না করে সবাইকে দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহনশীলতার বিকল্প নেই। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেতারের ভূমিকা অনন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ের চূড়া থেকে সাগরের মাঝখান পর্যন্ত যে সমপ্রচার মানুষের কাছে পৌঁছায়, তার নাম বেতার। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করতে অসামান্য ভূমিকার জন্যও বাংলাদেশ বেতারের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ বেতার বেঁচে থাকবে। আজও অন্য যেকোনো গণমাধ্যমের চেয়ে বাংলাদেশ বেতার গণমানুষের কাছে দ্রুত বার্তা পৌঁছে দেয়। তাই বাংলাদেশ বেতারের মানসম্মত অনুষ্ঠান প্রচারের আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব আবদুল মালেকসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল। বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে বেতারের সদর দপ্তর থেকে সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ ছাড়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রবন্ধ উপস্থাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।