× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তের দাবি ফখরুলের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে চারজন গ্রামবাসী হতাহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বেতবনা সীমান্তে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে চারজন গ্রামবাসী নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কোনো মানুষকেই বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা আইনসম্মত নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকলেই তা ত্বরিত প্রয়োগ করা সুশাসনের লক্ষণ হতে পারে না। বরং তা বেপরোয়া ও বেআইনি কর্মকাণ্ডেরই অংশ। মির্জা আলমগীর বলেন, সুদীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করে আসছে।
এর সঙ্গে দেশের বিজিবি-ও যদি যুক্ত হয় তাহলে সীমান্তবর্তী মানুষজনের জীবনের আর কোনো নিরাপত্তা রইলো না। এখন জনগণ প্রশ্ন করছে- বিজিবি কার স্বার্থ রক্ষা করছে? বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব স্থায়ীভাবে আসন লাভ করবে। গণসম্মতিহীন সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেই কেবল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেআইনি কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহী হয়। কারণ তাদের কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মহাভোট ডাকাতির মহা আয়োজন অনুষ্ঠিত করার জন্যই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনানুগ কাজে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। গুম-খুন-অপহরণ-নারী শিশু নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়েই সামাজিক অপরাধীরা দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সামাজিক অনাচার এখন ভয়াবহ মাত্রা লাভ করেছে। আতঙ্ক ও ভয় দেশের মানুষকে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশ এখন নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবে গেছে। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও মানুষ হত্যা করে রক্ত ঝরানো হচ্ছে। ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলেই রক্তঝরার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। মির্জা আলমগীর বলেন, এই অরাজক পরিস্থিতি চলতে পারে না। অত্যাচারিত জনগণের অন্তঃরুদ্ধ ক্ষোভ যেকোনো মুহূর্তেই বিস্ফোরিত হবে। দেশের মানুষ সব ভয়ভীতি অতিক্রম করে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবেই। আমি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বেতনা সীমান্তে বিজিবি ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন গ্রামবাসীর নিহত ও অসংখ্য মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর