× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজধানীতে কলেজছাত্রের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর সবুজবাগের কদমতলার একটি বাসা থেকে ইয়োগেন হেনসি গোন সালভেজ (২২) নামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কদমতলা ৯ নম্বর লেনের ৭৭/এ নম্বর বাড়ির নিচতলার বাসা থেকে হাত-পা   বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইয়োগেন হেনসি নটর ডেম কলেজের ছাত্র। লাশটি উদ্ধারের পর গতকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তে পিঠে ও পেটে ১৫টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবুজবাগ থানার ওসি আবদুল কুদ্দুস ফকির জানান, মঙ্গলবার রাতে কদমতলার ওই বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পেটে সাতটি ও পিঠে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নিহত ইয়োগেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, হেনসি পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকার একটি বাসায় মামাতো বোন শিপ্রার সঙ্গে থাকতেন। নিহত হেনসির বোন সিনজি গোন ডালিন বলেন, তিন ভাই বোনের মধ্যে হেনসি সবার ছোট। বড় ভাই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনিই হেনসির পড়ালেখার খরচ যোগাতেন। হেনসি একটু রগচটা স্বভাবের ছিলো। বদমেজাজি স্বভাবের কারণে ওর কোনো বন্ধু ছিল না।
সামান্য কথাতেই সে রেগে যেত। মামাতো বোন শিপ্রা ও তার স্বামী বিয়ের দাওয়াত খেতে বরিশাল যাওয়ায় গত ৫ দিন ধরে হেনসি তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন সে রাত ১০টা পর্যন্ত বাসায় না আসায় মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দু’বার রিং বেজে ফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পান কদমতলার একটি বাসায় তার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। রাতেই লাশটি শনাক্ত করা হয়।

নিহতের ভগ্নীপতি রোমেন পিনারু জানান, শিপ্রা বাসায় না থাকায় শুক্রবার গুলশানের নর্দায় বোন ডালিনের বাসায় যায় ইয়োগেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য ওই বাসা থেকে বের হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় ফোনে কল দেয়া হয়। কিন্তু কয়েকবার রিং হলে পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানতে পারেন কদমতলার একটি বাসায় তার লাশ পাওয়া গেছে। ইয়োগেন কিছুদিন আগে রবি কল সেন্টারে চাকরির জন্য ট্রেনিং করছিল। তার কোনো শত্রু ছিল না বলে মনে করেন রোমেন পিনারু। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। কলেজে ক্লাস করেছে। এরপর আর কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে কারা কি কারণে তাকে খুন করেছে এবং কেন তিনি পরিচয় গোপন করে নতুন বাসা ভাড়া নিলেন এই বিষয়ে জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবার।

নিহত হেনসির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তার বাবার নাম ম্যাকলিন গোন সালভেজ। মা ডরোথী সালভেজকে নিয়ে বাবা ম্যাকলিন চট্টগ্রামের কোতোয়ালির পাথরঘাটা এলাকায় থাকেন। তিনি জাহাজে চাকরি করলেও বর্তমানে অবসরে আছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর