× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতিসংঘের অনুরোধের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী /অনেক হয়েছে এবার অন্যদের সীমান্ত খুলতে বলুন

প্রথম পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

অভ্যন্তরীণ সংকটে বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা যে অনুরোধ জানিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা। ইউএনএইচসিআর-এর ওই অনুরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জাতিসংঘের উদ্দেশে বলেন, অনেক হয়েছে, এবার অন্যদের সীমান্ত খুলতে বলুন। রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে অন্য দেশগুলোকেও তা করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য দেশ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, অনেক মানুষকে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছি। তাই অন্য  দেশগুলোকেও একইভাবে সহায়তার কথা বলতে পারি। বাংলাদেশকে অন্যতম জনবহুল দেশ আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর এক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে বোঝাতে পারে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএনএইচসিআর গত ৮ই ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা আরো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে। ব্যাপক ও পরিকল্পিত সহিংসতার শিকার হয়ে নিজেদের মাতৃভূমি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে এ দেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, বিশ্বে যখন অনেক দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে (বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার) তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং মিয়ানমার থেকে আসা তাদের ভাই-বোনদের আশ্রয় দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। এ সমাধান কোথায় আটকে আছে, তা আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে সব আলোচনার মধ্যে যাতে এ সমস্যাটি (রোহিঙ্গা) উত্থাপন করা হয় সে জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

মন্ত্রী আশা করছেন, তারা ব্যাপক সহায়তা পাবেন যাতে করে সমস্যাটির সমাধান করা যায়। পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে উদৃত করে ড. মোমেন বলেন, যদি সমস্যা জানা থাকে, সমাধান করা কঠিন হবে না। সমস্যা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা গেলে সমাধান সহজ হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সমস্যাটি চিহ্নিত করতে পেরেছি, ইন্‌শাআল্লাহ সমাধানও করতে পারবো। মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর সীমান্ত সিলগালা করে দেয়া অর্থাৎ আর বাস্তুচ্যুতদের গ্রহণ না করার যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নিয়েছে সেটি আরো আগে নেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন কি-না? জবাবে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে স্টেপ বাই স্টেপ কাজ হয়। এটা আগে নেয়া উচিত ছিল বা এখন নেয়া উচিত হয়েছে- এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে বাংলাদেশ এখন মনে করেছে যে অনেক হয়েছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর