× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জনগণের উদ্দেশে কিছু বলার অধিকার নেই বিএনপির: হানিফ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ২:৫৪ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন,জাতির কাছে বলার মতো বিএনপির কিছুই নেই। যে দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রী আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং বিদেশে পলাতক থাকে - সেই দলের দেশের জনগণের জন্য কথা বলার কোনো নৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারে না। তাদের কোনো কথা নেই, ইস্যু নেই, ইস্যু এখন নির্বাচন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ,চাঁদপুর-২ আসনের এমপি নুরুল আমিন রুহুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা: আবু ইউসুফ ফকির, অরুণ সরকার রানা। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যারা একাত্তরে দোসর, তার আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র তৈরি করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অকারণে অহেতুক বিতর্ক তুলে আবার দেশের মধ্যে একটি অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করছে। নির্বাচন হয়ে গেছে।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। এ বিজয় ছিল প্রত্যাশিত। আওয়ামী লীগ যে এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করবে এটি দেশবাসী জানতো, বিশ্ববাসীও জানতো। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকে তবে আইন মোতাবেক অভিযোগ করুক। আর যদি অভিযোগ করে থাকে তবে মামলার নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করুক। কিন্ত নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন নিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার তাদের নেই। দেশের মানুষ তাদের ভাঙা রেকর্ড আর শুনতে চায় না। তিনি বলেন, তারপরও যারা ক্ষমতায় থাকতে দেশকে কোনো কিছু দিতে পারে নাই, ক্ষমতায় থাকতে যারা দেশকে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল, ক্ষমতার বাইরে থেকেও যারা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাধাগ্র¯’ করেছিল, সেই সমস্ত রাজনীতিবিদরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে এখন নির্বাচনী বিভিন্ন সময় কথা বলে যাচ্ছে। বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে হানিফ বলেন, একটা বিষয়ে আমাদের মধ্যে এখনও কষ্ট রয়ে গেছে। এখনো বাংলা ভাষার ব্যবহার সব জায়গায় পরিপূর্ণভাবে হ”েছ না। বিশেষ করে আমরা দেখি আদালতে যে রায়গুলো লেখা হয়, তা ইংরেজিতে লেখা হয়।

আদালত ইংরেজি ভাষায় রায়গুলো যেভাবে লিখেন, একমাত্র ওই আদালতে প্র্যাকটিস করা আইনজীবীরাই ভালো বুঝতে পারেন। যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। আমরা সকলের কাছে আশা করি, যে মাতৃভাষার জন্য আমরা প্রাণ দিয়েছিলাম তা সকল জায়গায় যেন ব্যবহার করতে পারি।ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে তফসিল ঘোষিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে বিবেচিত। এটি আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। আশা করছি, এ নির্বাচনে যত ছাত্র সংগঠন আছে তাদের সকলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ছাত্ররা তাদের ভোটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণের জন্য উপযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর