দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বচনকে সামনে রেখে প্রায় নয় বছর পর গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গিয়েছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান কালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ঘিরে বিরতিহীন স্লোগান দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা মধুর ক্যান্টিনে সময় কাটায় ছাত্রদল। আজ কোনো স্লোগান-পাল্টা স্লোগানের ঘটনা ঘটেনি।
ছাত্রদল নেতা কর্মীরা বেশ নির্বিঘেœ চা পান ও নিজেদের মধ্যে আলাপের মধ্য দিয়ে মধুর ক্যান্টিনে সময় কাটান।
গতকাল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের নেতারা সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেছিলেন, এখন থেকে তাঁরা নিয়মিত ক্যাম্পাসে ও মধুর ক্যানটিনে যাবেন। এর অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যানটিনে যান ছাত্রদলের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিকী। পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সেখানে আসেন।
গতকাল ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা যে টেবিলে বসেছিল, আজও সেই টেবিলেই বসে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আবারও হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র ও প্রার্থিতার ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সসীমা ৩০ বছর বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানান। এর সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশ নির্মাণের জন্য ডাকসু নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও জানায় সংগঠনটি। দাবি আদায়ে আন্দোলনের পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান ছাত্রদলের নেতারা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সবার সঙ্গে কথা বলছি। আমাদের মূল দাবি, ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করা। শুধু আমাদের নয়, অন্য অনেক সংগঠনও একই দাবি জানিয়েছে। ছাত্রদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে ছাত্রদল প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল। এবারও ছাত্ররা যদি নির্ভয়ে-নিঃসঙ্কোচে ভোট দিতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের বিজয় সুনিশ্চিত।’
ছাত্রলীগ অভিযোগ করছে, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অছাত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা হয়তো জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, কিন্তু অছাত্র নই। আমাদের অনেকেই কোনো না কোনো কোর্সে ভর্তি আছেন। প্যানেল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কর্মী-সমর্থক আমাদের আছে। এখন পর্যন্ত এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে আছি। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, আলোচনার ভিত্তিতে সেটি হবে।’