দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ব্যস্ততম এলাকার একটি অফিসের চিত্র এটি। এখানে যারা চাকরি করছেন তারা অন্যান্যদের থেকে বেশ আলাদা পরিবেশে কাজ করেন। অফিসে ঢোকার জন্য তাদেরকে কোনো আইডি কার্ড বা পাস দেখাতে হয় না। শুধুমাত্র তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ৫জি প্রযুক্তি চালু থাকলেই যথেষ্ট। তারা একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন যেখানে তাদের চেহারা দেখে প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। ভেতরে ঢুকে তাদেরকে কোনো কম্পিউটার বা ভারি যন্ত্র নিয়ে বসে থাকতে হয় না। শুধুমাত্র ডকিং প্যাডে নিজেদের মোবাইল ফোনটি সংযুক্ত করলেই হয়। ভার্চুয়াল ডেস্কটপ সিস্টেমের মাধ্যমেই তারা তাদের কাজ সম্পাদন করে থাকেন।
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে টেলিকম প্রকাশ করে যে ভবিষ্যৎ ৫জি অফিসগুলো দেখতে ঠিক কেমন হবে।
কোম্পানিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শিন সাং-কিউ বলেন, আমাদের অফিসটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সকল কাজই সহজ হয়ে যায় এবং সহজেই কাজে মনোযোগ দেয়া যায়। ৫জি প্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্মীলনে এই অফিসটিকে স্মার্ট অফিস হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এতে যারা কাজ করেন তাদের উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায় ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩টি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে। এরপর থেকে কোম্পানিগুলো ৫জিকে প্রতিদিনকার জীবনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।