× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেখে ফেলায়...

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে রাউজানে শ্বাশুড়ি হত্যা মামলায় পুত্রবধু কুসুম আকতার (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পটিয়া পৌরসদর থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর রাতে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তপাড়ায় শাহদুল্লাহ কাজী বাড়িতে পুত্রবধু কুসুম আকতার ও ভাতিজা শেখ কামালকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় শ্বাশুড়ি নুর আয়েশা বেগমকে (৫৫) হত্যা গলাটিপে হত্যা করে।
 
প্রথমে তারা আয়েশা বেগম স্ট্রোকে মারা গেছে বলে প্রচার করে দাফনও শেষ করে। পরবর্তীতে নিহতের প্রবাসী পুত্র কুয়েত থেকে দেশে এসে স্ত্রীর কাছ থেকে সুকৌশলে রহস্য উদঘাটন করে। এসময় স্বামীর কাছে স্বীকার করেন কুসুম আকতারের সাথে তার মামাতো ভাই শেখ কামালের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় তারা দুইজন মিলে নূর আয়েশা বেগমকে হত্যা করে।

ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর নিহত নুর আয়েশার একমাত্র ছেলে মো. মুবিন বাদী হয়ে তার মামাতো ভাই শেখ কামাল ও স্ত্রী কুসুম আক্তারকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হয়।

মামলার পর থেকে বাদী মো. মুবিনের স্ত্রী কুসুম আকতার ও মামাতো ভাই শেখ কামাল পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘদিন পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটিয়া থেকে স্ত্রী কুসুম আকতারকে আটক কওে পুলিশ। তবে মামাতো ভাই শেখ কামাল বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন।

রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্লাহ বলেন, আপন ভাতিজার সঙ্গে পুত্রবধুর পরকীয়া অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় দুইজন মিলে গলাটিপে হত্যা করে শ্বাশুড়ি নুর আয়েশা বেগমকে। এ মামলায় পুত্রবধু কুসুম আকতারকে আটক করা হয়েছে। ধৃত পুত্রবধুকে চট্টগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী কুসুম আকতারের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান বর্তমানে নানার বাড়িতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর