অবশেষে আলোর মুখ দেখছে ঘরের মাঠে আরেকটি টি-টোয়েন্টি লীগ। তবে এখানে সুযোগ পাবে দেশি ক্রিকেটাররাই। ক্রিকেটের সীমিত ওভারের এই ফরমেটে দেশি ক্রিকেটারদের আরো প্রস্তুত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দলগুলোকে নিয়ে এই লীগ আয়োজন করবে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা (সিসিডিএম)। মার্চের প্রথম সপ্তাহে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে ওয়ানডে ফরমেটে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের এবারের আসর। তবে তার আগেই টি-টোয়েন্টি ফরমেটে মাঠে গড়াবে এই লীগ। গতকাল সিসিডিএমের এক সভায় এমনই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সমন্বয়ক আমিন খান। তিনি বলেন, ‘আমরা ১২টি ক্লাব নিয়ে টি-টোয়েন্টি লীগ শুরু করেতে চাচ্ছি ওয়ানডে ফরমেটের আগেই।
কারণ সবার মতামত হলো পরে শুরু করলে এটির গুরুত্ব কমে যাবে। তাই ২৫শে ফেব্রুয়ারি আমরা এই নতুন টি-টোয়েন্টি লীগ শুরু করবো বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টানা এক সপ্তাহ চলবে এই টুর্নামেন্ট। এরপর দুই তিনদিন বিশ্রাম দিয়ে শুরু হবে ওয়ানডে ফরমেট।’
শুধু দেশীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে এই টি-টোয়েন্টি লীগের আয়োজনের দাবি অনেক দিন থেকেই। বিপিএলের পঞ্চম আসরে ৫ বিদেশি ক্রিকেটার একাদশে খেলানোর নিয়ম করা হয়। যে কারণে দেশি ক্রিকেটারদের অনেকেই বিপিএলে খেলার সুযোগ হারায়। তাই দেখা যায় দেশি ক্রিকেটারদের চেয়ে বিদেশিরাই পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকে। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশিদের প্রতিই আগ্রহী বেশি। দেশিদের টি-টোয়েন্টিতে ভালো না করার কারণও আছে। এখনকার ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি খেলার খুব একটা সুযোগ পান না। বিপিএল হলে কিছু ক্রিকেটার সেখানে খেলেন। বাকিদের বসেই থাকতে হয়। যার প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের ওপরও। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে বাংলাদেশ দল আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানেরও দুই ধাপ পর ১০ নাম্বারে অবস্থান করছে। আর এই কারণেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে বাছাই পর্ব। যেখানে ওয়ানডে ফরমেটে টাইগারদের র্যাঙ্কিং ৭ নম্বরে। এবার ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলছে সরাসরি। তাই দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আরো একটি টুর্নামেন্ট শুরু হলে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরমেটে বাড়বে অভ্যস্ততা। এতে করে বিপিএলেও তারা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে। এখান থেকেই তৈরি হবে টি-টোয়েন্টি ফরমেটের জন্য ভালো ভালো ক্রিকেটার। যারা জাতীয় দলের জন্যও আবদান রাখতে সক্ষম হবেন।