× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ / দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়রদেরই

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম আউট হলেন ৫ রান করে। দলের আরেক সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে এলো মাত্র ১৩ রান। ৭১ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর দলের মান বাঁচালেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ২৩২ রানের পুঁজিতেও ৮ উইকেটে হার দিয়ে শুরু টাইগারদের নিউজিল্যান্ড মিশন। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারলেও সিরিজ হার নিশ্চিত। তাই কিউইদের হারিয়ে সমতা ফিরানোর জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের হাতে। কিন্তু পারবে মাশরাফি বিন মুতর্জার দল! নাকি অতীতের রেকর্ড অপরিবর্তিতই থেকে যাবে? আজ রাত ৪টায় ক্রাইস্ট চার্চের হ্যাগলি ওভালে সিরিজ বাঁচাতে টারগারদের করণীয় কি! এ নিয়ে কোচ ও নারী ক্রিকেট দলের ইনচার্জ নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ে দায়িত্বটা নিতে হবে সিনিয়রদেরই।
রান করতে হবে তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের। নয় তো খুব কঠিন হবে বড় সংগ্রহ ছাড়া। বোলাররা বড় পুঁজি না পেলে খেই হারিয়ে ফেলবে এখানে। মোট কথা সৌম্য, সাইফুদ্দিন রান করেছে। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা কতটা থাকবে সেটিও বিষয়।  মোট কথা দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়রদের।’
নিউজিল্যান্ডে আগে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই জিতেনি বাংলাদেশ দল। এবার রেকর্ড পরিবর্তনের গর্জন শুনিয়েছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার বলে দিচ্ছে অপেক্ষা করছে আরো কঠিন সময়। কেন নিউজিল্যান্ডে পারছে না বাংলাদেশ দল! এ নিয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘দেখুন কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমাদের হাতে নেই। যেমন নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন খুবই কঠিন। এখানে উপমহাদেশের দলগুলো সময়ই স্ট্রাগল করে। এই কন্ডিশনের ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। এখানে আমরা নিয়মিত খেলিও না যে মানিয়ে নেয়া সহজ হবে। এরপর আরেকটা বিষয় হলো ওরা (ব্ল্যাকক্যাপস) দারুণ দল। যাদের সঙ্গে জেতা খুব সহজ বিষয় নয়। তবে এবার যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যেটা আমাদের হাতে ছিল সেটি করতে পারিনি। যেমন বিপিএলের মতো লম্বা একটা টুর্নামেন্ট শেষ হতেই পাঁচ ছয় দিনের ব্যবধানে এত বড় লম্বা সফর করে দল নিউজিল্যান্ডে গেছে। সেখানে এমন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া তো কঠিন। তার ওপর টি-টোয়েন্টি খেলে ওয়ানডে লড়াই শুরু করেছে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই। আসলে ক্রিকেটারদের বিপিএলের মতো এমন একটা আসরের পর কিছুটা হলেও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। বিশ্রামেরও প্রয়োজন ছিল। আমি মনে করি শারীরিকের চেয়ে মানসিক বিশ্রামটাই বেশি প্রয়োজন ছিল। তবে হ্যাঁ, আর কিছুদিন সেখানে খেললে মানিয়ে নিতে পারবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশ নিয়েও আছে প্রশ্ন। টাইগারদের অন্যতম শক্তি কোনো বাঁহাতি স্পিনারই ছিল না। এখানে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরমেটেই সাকিব আল হাসান বল হাতে সেরা। তার বিকল্প হিসেবে কোনো বাঁহাতি স্পিনারকেই দলে রাখা হয়নি। প্রথম ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষের দুটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছেন তাও দুই অফস্পিনার মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ। আক্রমণে বাঁহাতি স্পিনার না থাকা নিয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আসলে সাকিব না থাকলে আমাদের একাদশ সাজানো খুবই কঠিন হয়ে যায়। একজন ব্যাটসম্যান ও একজন বোলারের একই সঙ্গে অভাব হয়। এখন একজন বাঁহাতি স্পিনার নিতে গেলে হয় ব্যাটসম্যান কমাতে হবে নয়তো পেসার। তাহলে আমাদের দলের ভারসাম্য হারাবে। তবে হ্যাঁ, একজন বাঁহাতি স্পিনার থাকলে ভালো হতো, আক্রমণে বৈচিত্র্য আসতো। দলের জন্যও উপকার হতো।’ সফর শুরুর আগেই হারাতে হয়েছে সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। এ ছাড়াও দারুণ ফর্মে থাকা পেসার তাসকিনও ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। তাই ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফির জন্য একাদশ সাজানো চ্যালেঞ্জই মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে পেসাররাও আশানুরূপ কিছু করতে পারে নি। ব্যাটসম্যানরাও তেমন একটা সফল নয়। সব মিলিয়ে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে দলের করণীয় কি! এ নিয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আসলে করণীয় বলতে একাদশে বড় পরিবর্তন করে লাভ নেই। পেসাররা ভালো করে নি কারণ ওরাও ক্লান্ত। লম্বা একটি টুর্নামেন্ট খেলে গেছে তাই। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর আমার যেটা মনে হয় উপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে। আশা করি তামিম রানে ফিরবে। লিটন অনেক দিন থেকে রান করছে না। তাকেও নিজের বিষয়ে ভাবতে হবে। সৌম্য ৩০ রান করেছে কিন্তু যেভাবে সে করেছে তাতে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং মনে হয়নি। এ ছাড়াও সাব্বিরকেও ভাবতে হবে নিজেকে নিয়ে। আর মিঠুন রান পেয়েছে। আমার ধারণা এই আত্মবিশ্বাস ওর কাজে দেবে। বোলারদের লড়াই করার মতো পুঁজি দিতে হবে নয়তো লড়াই খুবই কঠিন হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর