বড়াইগ্রামে মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি খুন সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার নগর ইউনিয়নের জালোড়া গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) নামে একজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার একই সময় জোয়াড়ি ইউনিয়নের কুমরুল গ্রামের একটি আম বাগান থেকে শ্বাসরোধে হত্যা করা গৃহবধূ রুমা খাতুন (৪০)-এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সঞ্জিত জালোড়া গ্রামের সত্যেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে এবং রুমা খাতুন কুমরুল গ্রামের আবদুল আলীমের স্ত্রী। নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে সঞ্জিত বিশ্বাস নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভোরে তার লাশ বাড়ির অদূরে শ্মশানঘাটের পাশে বাঁশবাগানে পাওয়া পায়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে প্রথমে শ্বাসরোধে ও পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। ইয়াসিন আলী সরকার আরো জানান, তিনি বেশ ভালো লোক এবং পরোপকারী ছিলেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, সঞ্জিতের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন মানুষের সুদের ভিত্তিতে আর্থিক লেনদেন ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক বিষয়ে বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। সঞ্জিতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে সন্দেহভাজন ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অপরদিকে গৃহবধূ রুমা খাতুন খুনের ঘটনায় পুলিশ দ্বিতীয় পক্ষের সতীন শাহিদা খাতুন ও স্বামী আবদুল আলীমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ পৃথক দুই ঘটনায় থানায় দুইটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।