× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাধবপুর-পদ্মছড়া সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ /ভেঙে গেছে নবনির্মিত কালভার্ট

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির আওতাধীন মাধবপুর-পদ্মছড়া সংযোগ সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার পাকাকরণ কাজে এক নম্বর ইটের খোয়ার পরিবর্তে তিন নম্বর ইটের চেয়েও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এরফলে ওই সড়কের মেকাডম কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের নবনির্মিত একটি কালভার্ট ভেঙে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ। তবে কাজের ঠিকাদার বলেন, মূল কাজই তো শুরু করিনি। নিম্নমানের হবে কি করে? এদিকে মাধবপুর-পদ্মছড়া সংযোগ সড়কের কাজের নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলজিইডি দপ্তরের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী। জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাধবপুর-পদ্মছড়া সংযোগ সড়কের প্রায় দুই কি.মি. (১৯শ’ মিটার) সড়কের পাকাকরণ কাজ চলছে। সিলেট বিভাগ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক পাকাকরণ কাজ দরপত্রের মাধ্যমে পান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ- ওই নেতা সড়কটির কাজ পেয়ে কাজের শিডিউলের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো সড়কের  মেকাডম কাজে ব্যবহার করেন নিম্নমানের ইটের খোয়াসহ নির্মাণ-সামগ্রী। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের প্রথম অংশে পানি প্রবাহের জন্য সড়কের উপর নবনির্মিত একটি কালভার্ট  ভেঙে গেছে। ওই কালভার্টটি নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার ফলে সড়কের মূল কাজ শুরুর আগেই নবনির্মিত কালভার্টটি ভেঙে  পড়েছে। এছাড়া সড়কের কাজ এক নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে করার নিয়ম থাকলেও নিম্নমানের ইটের খোয়া (কংক্রিট) ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া তিন নম্বর ইটের নিম্নমানের খোয়া ও মাটি-বালু মিশ্রিত বালু দিয়ে সড়কের মেকাডম করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিল এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. সুন্দর আলী। সড়কের পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় স্থানীয় লোকজন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা বলেন,কাজের ঠিকাদার হলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও বর্তমান ইউপি সদস্য। তাই কাজের শুরু থেকেই কাজের শিডিউলের নিয়মকানুনের তিনি কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতো সড়ক উন্নয়ন কাজ করলেও রহস্যজনক কারনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নীরব রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে- সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কাজের তদাকরি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ক্ষমতাসীন দলের ওই ঠিকাদার সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন। তাই সড়কের নিম্নমানের কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউই টু-শব্দ পর্যন্ত করছেন না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজের ঠিকাদার মেসার্স আদিল এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. সুন্দর আলী বলেন, সড়কের মূল কাজই  তো শুরু করিনি। কাজ নিম্নমানের হবে কি করে? সড়ক উন্নয়ন কাজে কাজের শিডিউলের নিময়কানুন মানা হচ্ছে না। কাজে নিম্নমানের খোয়া সহ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোন জবাব মিলেনি ঠিকাদারের কাছে। আলাপকালে স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে কাজটির তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী খালেদ হোসেন খাদেম সাংবাদিকদের বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
 মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আব্দুর রশীদ খান সাংবাদিকদের বলেন, মাধবপুর-পদ্মছড়া সংযোগ সড়কের কাজ সরেজমিন পরিদর্শনকালে সড়কের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সংস্কার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী কাজের সাইট  থেকে তুলে নেয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর