× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘চলচ্চিত্রে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

বাংলাদেশে এই সময়ে যাত্রাশিল্পের জন্য কোনো বাজেট নেই। এছাড়া আগের মতো এখন গ্রাম অঞ্চলে যাত্রাপালার আসরও হচ্ছে না। যাত্রাশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যাত্রাশিল্প নিয়ে এ কথাগুলো বললেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পে তার বাবা অমলেন্দু বিশ্বাসের রয়েছে ব্যাপক অবদান। যাত্রাশিল্প নিয়ে তিনি আরো বলেন, একটা সময় দেশের প্রায় সব গ্রাম অঞ্চলে যাত্রাপালার আয়োজন করা হতো। নতুন প্রজন্মের অনেকে যাত্রাশিল্প সম্পর্কে অবগত নয়। কারণ এটি অনেকটা বিলুপ্তির পথে।
যাত্রাপালায় যারা অভিনয় করছেন তাদেরও শিক্ষার অভাব রয়েছে। সবার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। তবে আমি মনে করি, আমাদের সংস্কৃতিতে যাত্রাশিল্পের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই শিল্প বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। এদিকে আজ মুক্তি পাচ্ছে এই অভিনেত্রীর ‘রাত্রির যাত্রী’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র। এতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন অরুণা বিশ্বাস। সে চলচ্চিত্রের নাম ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’। প্রথম এ ছবিতেই বড় পর্দার দর্শকেরা তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন। তবে ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে চলচ্চিত্র নিয়ে বেশ হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষ্য, চলচ্চিত্রের এই সময়ে অনেক নির্মাতা শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারে না। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীকে কীভাবে উপস্থাপন করবেন সেটিও অনেকে জানেন না। যার কারণে আমাদের চলচ্চিত্রে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। আগের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ না হওয়া প্রসঙ্গেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, একেকটা সময়ে একেকজন শিল্পীর বাজার থাকে। যখন যার বাজার ভালো থাকে তাকে সে সময় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখতে হয় বেশি। আমি দেখেছি নায়করাজ রাজ্জাক, জসিম, মান্না নিজেরা ছবি প্রযোজনা করেছেন। অনেক সময় তাদের হাত ধরে অনেক বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এখন এটি কমে গেছে। চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করার মতো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা বাড়বে। চলচ্চিত্র নির্মাণ হলেই ভালো ছবি বের হয়ে আসবে। বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হলো। গেল ৬ই ফেব্রুয়ারি নতুন কমিটি নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অরুণা বিশ্বাস। চলচ্চিত্র বিষয়ক এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, আমি আমার নিজের দিক থেকে সৎ থাকব। রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, কিংবা অশ্লীল কিছু আমাদের সমাজকে কলুষিত করে এমন চলচ্চিত্র যেন মুক্তি না পায়, সেটিকে গুরুত্ব দেবো। চলচ্চিত্র রাষ্ট্র ও সমাজে বিশাল ভূমিকা রাখে। সেই চলচ্চিত্র আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিভাজন করবে এমন কিছু না করাই উত্তম। চলচ্চিত্রের বাইরে এই অভিনেত্রী এখন মাঝে মধ্যে ছোট পর্দায়ও কাজ করছেন। সম্প্রতি একটি ডিটারজেন্ট পাউডারের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন বলে জানান তিনি। এটি নির্মাণ করেছেন আকাশ আমিন। টিভি নাটকের কাজ নিয়েও এই অভিনেত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, টিভি নাটকে এখন ভালো গল্পের খুব অভাব। গতানুগতিক গল্পের নাটকই বেশি নির্মাণ হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর