× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘বিশ্বকাপ স্বপ্নে ইনজুরি বাধা হবে না’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। স্ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কমপক্ষে তিন-চার সপ্তাহ লাগবে  কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া চলতে। এরপর জানা যাবে কবে নাগাদ বল হাতে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন। এরপর পূর্ণ রানআপে বল করতে সময় লাগবে কতদিন সেটিও জানা নেই। যে কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর তাসকিন আহমেদের বিশ্বকাপও শেষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে ইনজুরি বাধা হবে না বলেই মনে করেন এই তরুণ পেসার। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লীগেই মাঠে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আসলে ইনজুরির ধরন দেখে হয়তো অনেকেই ভাবছে যে আমার ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলাই হবে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এই ইনজুরি আমার বিশ্বকাপ স্বপ্নে কোনো বাধা হবে না। আমি চাচ্ছি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেই মাঠে ফিরতে। যদিও সুপার লীগের আগে হয়তো খেলা হবে না। এখানে খেলতে পারলে আমি আবার নিজের শক্তি ফিরে পাবো বলেই মনে করি।’
২০১৭  থেকে একবছর ইনজুরির কারণে ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ২২ উইকেট নিয়ে জানান দিয়েছিলেন ফিরে আসার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ওয়ানডে ও টেস্ট দলেও জায়গা করে নেন তাসকিন। কিন্তু বিধিবাম! বিপিএলে নিজ দলের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেই পড়েন ইনজুরিতে। গোড়ালির লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে। যে কারণে কোনো অবস্থাতেই দেড়-দুই মাসের আগে মাঠে ফেরা তার জন্য প্রায় অসম্ভব। তারপরও বিশ্বকাপ খেলার জন্য এত আত্মবিশ্বাস কিভাবে পাচ্ছেন তাসকিন? ইনজুরি নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘দেখেন আমি জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এর মধ্যে কয়েকবার ইনজুরি থেকে মাঠে ফিরেছি। আবার বাইরেও গেছি। এবার যে ইনজুরিতে পড়লাম সেটি মানতে খুব কষ্টই হচ্ছে। বিপিএলে এত ভালো বল করলাম। এত কষ্ট করে নিজের ও বোলিংয়ে রিদম ফিরিয়েছি। তাই এবার একটু বেশিই খারাপ লাগছে। তবে, আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। হয়তো এতেই আমার কোনো মঙ্গল আছে।’
তাসকিন জানালেন ইনজুরিকে এখন জয় করা শিখে গেছেন তিনি। তার এই অনুপ্রেরণা দেশসেরা পেসার ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বলেন, ‘দেখেন ক্রিকেটে আসার পর থেকেই আমি মাশরাফি ভাইকে ফলো করি। তার মতো হতে চাই। তার জীবনের বড় একটা অংশজুড়ে কিন্তু ইনজুরির সঙ্গেই লড়াই। আমি সব সময় চেয়েছি তার মতো হতে। তাই মাশরাফি ভাইয়ের উত্তরসূরি হতে হলে ইনজুরিকে ভয় পাওয়া চলবে না। আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি কিভাবে ইনজুরি মোকাবিলা করে মাঠে ফিরতে হয়।’
একবছর ইনজুরি ও ফর্মের কারণে ছিলেন না কোনো আলোচনায়। কিন্তু বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ফিরেই বল হাতে দেখান চমক। তার বোলিংয়ে দেখা গেছে দারুণ উন্নতিও। সিলেট সিক্সার্সে তার কোচ ছিলেন পেস বোলিং কিংবদন্তি পাকিস্তানি তারকা ওয়াকার ইউনুস। বলা হচ্ছে ওয়াকারের সংস্পর্শে এসেই তাসকিন ফের নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। সত্যি কি তাই! এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে ওয়াকার ইউনুসের মতো একজন বিশ্বকাঁপানো পেস বোলারের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। হ্যাঁ, অবশ্যই আমার ফিরে আসার পেছনে তার অবদান ছিল। যদি বলি ছিল না তাহলে মিথ্যা বলা হবে। তিনি প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে চ্যালেঞ্জ নেয়া শিখিয়েছেন। তার একটাই কথা আমাকে বেশি আত্মবিশ্বাস দিতো- সেটি হলো যে মানসিকভাবে শক্ত না হলে আমি এগিয়ে যেতে পারবো না। এ ছাড়াও বোলিং নিয়েও টিপস দিয়েছেন নানা রকম, যেগুলো আমার বেশ কাজে এসেছে।’  
বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে তাসকিন বেছে নিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগকে। বাস্তবতায় তা সম্ভব কি না এ নিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। আমি যদি প্রিমিয়ার লীগ ও সুপার লীগে কিছু ম্যাচও খেলতে পারি ফের নিজেকে প্রমাণ করতে পারবো বলেই বিশ্বাস করি। যদি খেলতে না পারি তাহলে হয়তো প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। এরপর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। সেখানেও যদি আমি সুযোগ পাই আমি নিজের সেরাটাই দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর