ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক তুলে ‘হিরো’ বনে গিয়েছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের স্পিনার আলিস আল ইসলাম। তার একদিন পরই আলিসের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ আনে প্রতিপক্ষ দল রংপুর রাইডার্স। পরবর্তীতে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের স্পিনার সঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। পরে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে রংপুর রাইডার্সের স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও। আর এই তিন ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছেন আম্পায়াররা। তিন স্পিনারের বোলিংয়ে সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বোলিং রিভিউ কমিটির প্রধান নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে তাদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হবে।’ এর আগে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে খেলার সময় আলিসের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি।
আরেক স্পিনার সঞ্জিত সাহা ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হন। আইসিসির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আর নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। নাসির আহমেদ নাসু বলেন, ‘আলিস ও সঞ্জিতের বিশেষ কয়েকটি ডেলিভারি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তবে, নাহিদের সব ডেলিভারিই সন্দেহযুক্ত। ওদের নিয়ে আগামী সপ্তাহেই কাজ শুরু করবো। যদি এতে উতরে যায় তাহলে ভালো। নয়তো অ্যাকশন শোধরানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে ওদের।’ বোলারদের অ্যাকশন পুরোপুরি না শোধরানো পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের বোলিং করার সুযোগ দেবে না বিসিবি। যদিও তারা ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন।