× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আত্মবিশ্বাসী মিরাজ, সতর্ক মিঠুন

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামার আগে মেহেদী হাসান মিরাজের কথায় আত্মবিশ্বাস আর মোহাম্মদ মিঠুনের কণ্ঠে সতর্কতা। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়োনডেতে খেলতে নামার আগে গতকাল অনুশীলনে ঘাম ঝরায় টাইগাররা। পরে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই সিরিজটা জেতা সম্ভব। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিততে পারবো। সে কারণেই কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জিতলে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবো।’ নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শুরুর ৭১ রানে পাঁচ উইকেট খোয়ায় টাইগাররা। আর অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মাদ মিঠুনের ৮৪ রানের জুটির সুবাদে দলীয় ২০০ রানের কোঠায় পৌঁছে বাংলাদেশ। মিরাজ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ইনিংসের শুরুর ১০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময়টা যদি টিকে যাই, রান অল্প হলেও সমস্যা না। প্রথম ম্যাচে আমরা শুরুর ১০ ওভারে তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের দ্রুত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এখন টপ অর্ডার যদি রান করে, প্রথম ১০ ওভার দেখে খেললে আমাদের সুযোগ থাকবে ভালো করার।’ প্রথম ম্যাচে মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট পেলেও কিউই ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কে ফেলার মতো তেমন কিছু ছিল না স্পিনারদের বোলিংয়ে। মিরাজ বলেন ‘দেশে খেললে স্পিনারদের ওপর নির্ভর করা হয়। বিদেশে পেসারদের ওপর। সাকিব ভাই থাকলে অবশ্য অন্য হিসাব। অবশ্যই ভালো হতো। আত্মবিশ্বাস বেশি পেতাম। এখন এখানে আমাকে স্পিনারদের মূল ভূমিকাটা পালন করতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, এখানে স্পিনারদের যে রোল, সেটি হচ্ছে পেসারদের সাহায্য করা। এখানে স্পিনাররা বেশি টার্ন পায় না। উইকেটের সহায়তা পায় না। এখানে চেষ্টা করা যায়, যতটা সম্ভব রান কম দেয়ার। এভাবে বোলিং করলে পেস বোলাররা উইকেট পেতে পারে। নেপিয়ারে ৭ বল বাকি রেখে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে আট উইকেট অক্ষত রেখে জয় দেখে নিউজিল্যান্ড। মিরাজ বলেন, একটা বড় রান দরকার। ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর দিতে পারলে বোলারদের কাজটা একটু সহজ হয়। তখন আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করতে পারি।’ কিন্তু নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাটিং করলে? ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে ২০১৬ সালের বক্সিং ডেতে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচই একরকম শেষ করে দিয়েছিল কিউইরা। টম ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ পৌঁছে  ৩৪১/৭-এ। জবাবে ৪৪.৫ ওভারেই ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। হ্যাগলি ওভালের বাদামি রঙের উইকেটে  এবার নিশ্চয়ই রান পাবে ব্যাটসম্যানরা।
নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে মূলত কিউই পেসারদের দুরন্ত গতি ও সুইংয়ের বিপক্ষে ভুগতে দেখা যায় টাইগার ব্যাটসম্যানদের। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসনদের বোলিং তোপের মুখে দলীয় মাত্র ১৩৭ রানে সপ্তম উইকেট খুইয়ে বড় শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা। তবে, অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মোহাম্মাদ মিঠুনের ৮৪ রানের জুটিতে মান বাঁচে টাইগারদের। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতকটি (৬২) আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে । দ্বিতীয় ওয়ানডে সামনে রেখে মোহাম্মাদ মিঠুন বলেন, ‘আমরা তো এরকম গতির বল খেলে অভ্যস্ত না। তাদের প্রত্যেক পেসার ১৪০কি.মির উপরে বল করছে। আমরা বাংলাদেশি কন্ডিশনে ১৩০-এ খেলে অভ্যস্ত। ওখান থেকে ১৪০-১৫০ কি.মি খেলতে কিছুটা সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক।’ ফার্গুসেনের আগুনে গতি এসেছে ইনিংসের মাঝামাঝি। তার আগে তো স্যুয়িংয়েই কাবু বাংলাদেশ। মিঠুন বলেন, সবাই জানে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নতুন বলে অনেক স্যুয়িং করায়। আমরা সেই স্যুয়িংয়ে অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওখানেই ব্যাকফুটে চলে যাই। তারপর ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। কারণ খানিক পর পরই উইকেট পড়ছিল। তবে, প্রতি ম্যাচেই নতুনভাবে নামতে হয়। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ইতিবাচক ফল আনতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর