রূপগঞ্জে চিকিৎসা করাতে এসে কবিরাজের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন রাজধানীর এক গৃহবধূ। প্রাইভেট চিকিৎসার নামে কবিরাজ নিজের বাড়িতে আটকে রেখে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেয়ারিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ধর্ষিতার ভাই রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামীর সঙ্গে মনের অমিল চলছিল রাজধানীর পল্লবী এলাকার এক গৃহবধূর। রূপগঞ্জের কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করালে এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব খালাতো ভাইয়ের এমন পরামর্শে গত ১১ই ফেব্রুয়ারি সে চিকিৎসা করানোর জন্য খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেয়ারিয়া এলাকার মদন মোহনের ছেলে পঞ্চাশোর্ধ্ব কবিরাজ লাল চাঁন বাবুর কাছে আসেন। সকল সমস্যা শুনে কবিরাজ জানায় চিকিৎসা করা সম্ভব তবে খুব কষ্টসাধ্য এবং পারিশ্রমিক চল্লিশ হাজার টাকা লাগবে। আর রাতে থাকতে হবে ফরিয়াদিকে। অবশেষে খালাতো ভাই বিশ হাজার টাকায় রফা করে নিজের স্ত্রীসহ খালাতো বোনকে রেখে আসে কবিরাজের বাড়ি। মধ্যরাতে প্রাইভেট চিকিৎসার কথা বলে খালাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে কবিরাজ ঘরের খিল এঁটে দেয়। পরে গৃহবধূর চিৎকারে ভাবি দরজা ধাক্কাধাক্কি করে খুলে ফেলে। এ সময় তিনি দেখতে পান প্রায় অর্ধচেতন করে কবিরাজ তার ননদকে ধর্ষণ করছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর খালাতো ভাই রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সে গৃহবধূর স্বামীর কানে যায়। বর্তমানে গৃহবধূকে তালাক দেয়ায় প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে স্বামী।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল হক বলেন, গৃহবধূকে উদ্ধারের পর তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ভণ্ড করিবাজ চিকিৎসক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে।