× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত এক মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্রয়লার মুরগি কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানেও প্রতি কেজি মুরগির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা। রাজধানীর কাওরান বাজার, সেগুনবাগিচা, হাতিরপুল বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কাওরান বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির। লাল লেয়ার মুরগি আগের সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। অর্থাৎ দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর আগের সপ্তাহের মতোই পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসে ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দর ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
মুরগি ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, প্রায় এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়ছে। যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হয়তো ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। আরেক ব্যবসায়ী জানান, শীত মৌসুমে অনেক ছোট মুরগির ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো আর চালু হয়নি। ফলে সরবরাহ ঘাটতি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া পিকনিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছ।
এদিকে শীতের সবজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে সবজির। কাওরান বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কিছু সবজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পটোল ১০০ টাকা ও কচুর লতি ১০০ টাকা।
ওদিকে আগের মতোই প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও শালগম ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা এবং পুঁইশাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের মওসুম শেষ হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। নতুন সবজির আমদানি বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাজারে সয়াবিন তেল, ডিম ও আদা-রসুনের দাম বেড়েছ। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩ টাকা বাড়িয়েছে বিপণনকারী কোম্পানি। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ৫ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম হবে ৫০০ থেকে ৫১৫ টাকা।
খুচরা বাজারে ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে, যা আগের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। কাওরান বাজারের ডিমের পাইকারি দোকানেই প্রতি ১০০ ডিম ৮৫০ টাকা চান বিক্রেতা। এতে হালি পড়ে ৩৪ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানে, যা সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে থাকে।
সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পিয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। দেশি পিয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজ ২২ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রসুন ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, আদা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর