× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জরুরি অবস্থা জারি করছেন ট্রাম্প

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, শনিবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থা জারির  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে তিনি কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে প্রয়োজনীয় যেকোনো অঙ্কের অর্থ দেয়াল নির্মাণের জন্য ব্যয় করতে পারবেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উচ্চাভিলাসী এই প্রকল্পে ৮০০ কোটি ডলার অর্থ বরাদ্দ করবেন। একই সঙ্গে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠের ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে বিল পাস করেছেন, সরকারে অচলাবস্থা এড়াতে তাতেও স্বাক্ষর করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারি অর্থ বরাদ্দের বিলে স্বাক্ষর করবেন। একই সঙ্গে আমরা যেন সীমান্তে মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি, সেজন্য তিনি জরুরি অবস্থাসহ অন্যান্য নির্বাহী পদক্ষেপ নেবেন। দেয়াল নির্মাণ, সীমান্ত সুরক্ষা ও আমাদের মহান দেশকে নিরাপদ করার প্রতি প্রেসিডেন্ট তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছেন।’
একই দিনে মাতৃভূমি নিরাপত্তা বিভাগে (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ রেখে কংগ্রেসে একটি বিল পাস হয়েছে।
তবে এতে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের চাওয়া ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়নি। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে এই বিলে সোয়া ১০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের উভয়কক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিজের মত না রাখার পরেও ট্রাম্প সরকারে অচলাবস্থা এড়াতে এই বিলে স্বাক্ষর করবেন। আর বাকি অর্থ বরাদ্দের জন্য জরুরি অবস্থা জারির পরিকল্পনা তার।
এদিকে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে এমন কোনো সংকট তৈরি হয়নি যাতে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। ডেমোক্রেটরা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি পেলেসি। এটিকে অতিমাত্রায় নির্বাহী ক্ষমতার ব্যবহার বলেও মনে করেন তিনি। যাতে তীব্র অস্বস্তি ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। অন্য ডেমোক্রেট রাজনীতিবিদরাও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সিনেটর চাক শুমার বলেন, ট্রাম্প যদি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন, সেটা হবে আইন বহির্ভূত কাজ। প্রেসিডেন্টকে থামানোর জন্য কংগ্রেস পদক্ষেপ নেবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর