ভূমিদস্যুদের দ্বারা দখল হয়ে যাচ্ছে মহেশপুরের কপোতাক্ষ নদ। স্বচ্ছ পানির নদটি এখন মৃত প্রায়। নদটি খালিশপুর বাজারের দুই ধারে, মহেশপুর পৌরসভার অংশে দুই ধারে ভূমিদস্যু দ্বারা দখল হয়ে গেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের এক নির্দেশনায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তা পত্রিকায় প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। নদ-নদী দখলকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে সাজা-জরিমানা নির্ধারণ করা অভিযোগ দায়ের পদ্ধতি সহ ইত্যাদি নদী কমিশন আইনে অন্তর্ভুক্ত করে ৬ মাসের মধ্যে তা আদালতে দাখিলসহ অনেক নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমানে মহেশপুরে নদী দখল করে চলছে কৃষি আবাদ, পুকুর খনন, ঘরবাড়ি নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ সকল দখলদার যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তাদের ছত্রছায়ায় থাকে। এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে।
ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায়। স্থানীয় সচেতন মহল দাবী জানিয়েছে যেহেতু সরকার অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্তরিক ও হাই কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে সে ক্ষেত্রে শুষ্ক মৌসুমে দ্রুত নদী কমিশনের আইন অনুযায়ী জরিপ চালিয়ে নদীর জায়গা উদ্ধার করে খনন করে আগের যৌবন ফিরিয়ে আনা। একসময় এই কপোতাক্ষ নদ দিয়ে নদী পথে এই এলাকার মানুষ বিভিন্ন পণ্য কলকাতায় রপ্তানি করতো। ব্রিটিশ আমলে জগেশ এবং পরেশ নামে ২টি লঞ্চ কলকাতায় যাতায়াত করতো। সে সময় এ এলাকায় উৎপাদিত খেজুরের গুড়ের চিনি বণিকরা সংগ্রহ করে কলকাতা হয়ে লন্ডনে নিয়ে যেতেন। মহেশপুরসহ এ অঞ্চলের মানুষ বর্তমান সরকারের কাছে অবৈধ দখলদার মুক্ত করে পুনঃখননের জোর দাবি জানিয়েছে।