× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে নারী পুলিশের লাশ উদ্ধার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বার থানা কোয়াটার থেকে শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি- মাদকাসক্ত ও অর্থ লোভী স্বামী পুলিশ সদস্য রাজিব দে’র কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারের পঞ্চনগর এলাকার মৃত অনিল দাসের মেয়ে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিপ্রা ছোট ছিল। চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহেদ উদ্দিন মানবজমিনকে জানান, থানা কোয়ার্টারের ওই কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচজন নারী পুলিশ থাকতো। তাদের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছে। দুপুরে অপর তিনজন খাওয়া আনার জন্য কক্ষের বাইরে গেলে শিপ্রা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে আমরা নামাজ শেষ করে ফিরে আসলে অন্য নারী পুলিশ সদস্যরা দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানালে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে পারতেছি না কেন ফাঁস দিয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এদিকে নিহত শিপ্রা রানীর মা স্বর্ণা রানী দাস বলেন, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যায়। ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকার রাজিবের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে ২০১৭ সালের ১০ই জুলাই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ ১ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র দেয়া হয়। রাজিব বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজিব মাদকাসক্ত ছিল। সে পুলিশে চাকরি করলেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য শিপ্রাকে মারধর করতো। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের সংসার চালান। তাই তার পক্ষে  রাজিবকে টাকা দেয়া সম্ভব হতো না। শিপ্রা চরজব্বার থানায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর রাজিবের ভয়ে গত ৪ মাস ধরে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।    
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর