× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রাণ লোক উৎসবে বিমান প্রতিমন্ত্রী ‘লোক সংস্কৃতির তীর্থস্থান হবিগঞ্জ’

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে হবিগঞ্জে চলছে ৩ দিনব্যাপী প্রাণ লোক উৎসব। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই হবিগঞ্জের দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে গেলেন কুষ্টিয়ার লালন একাডেমী ও দেশ বরেণ্য বাউল শিল্পীরা। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জালাল  স্টেডিয়ামে চলছে এ লোক উৎসব। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রাণ লোক উৎসবের উদ্বোধন করেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুুব আলী এমপি।  জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা, পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল হক চৌধুরী, বাউল কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম,  খোয়াই থিয়েটারের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ও মরমী সাধক মুন্সি শাহ জহির উদ্দিন দ্বীনহীনের উত্তরসূরি শামীম আহমেদ। প্রথম দিন থেকেই উৎসবে প্রাণ জাগিয়ে তুলেন সংগীতপ্রেমী হাজারো নারী-পুরুষ। প্রথমদিন মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন কুষ্টিয়ার লালন একাডেমী, পাগলা আশিক, চিশতী বাউল ও সেলিম চৌধুরীসহ দেশ বরেণ্য বাউল শিল্পীরা। বাকি দুদিন মঞ্চে ঝড় তুলবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবির নন্দী, এ প্রজন্মের খ্যাতিমান বাউল শিল্পী শাহনাজ বেলী, রিংকুসহ দেশখ্যাত স্বনামধন্য বাউল শিল্পীরা।

এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুুব আলী বলেন, হবিগঞ্জ লোক সংস্কৃতির তীর্থ স্থান। অতীতে এসব লোক উৎসবের প্রচলন ছিল। সিলেট বিভাগের ভাটি এলাকা হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ লোক সংস্কৃতির একটি বিশাল ভাণ্ডার। হাছন রাজা, রাধারমন, শাহ আব্দুল করিমের গান শুধু আমাদের এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়। আজ সারা দেশেই এসব গানের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সিলেট বিভাগকে একটি ভিন্ন মাত্রা, ভিন্ন উচ্চতায় তুলে দিয়েছেন আমাদের মরমী গায়ক, গীতিকার, সুরকাররা। হবিগঞ্জের অতীত ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই এ  লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম পুরোনো ঐতিহ্য লালনে উৎসাহিত হবে। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, লোক সংস্কৃতিতে অন্যতম সমৃদ্ধ জনপদ হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা। হবিগঞ্জের কয়েকজন বিখ্যাত মরমি সাধকরা অসংখ্য গান লিখে গেছেন। যেগুলো নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা চলছে। এই সংস্কৃতিকে জাগিয়ে রাখার জন্য বিশেষ করে মরমি সাধকদের সৃষ্টি কর্মের উপর বর্তমান প্রজন্মের গবেষকরা যাতে আগ্রহী হয় এটিই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আমরা চাই আমাদের এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের এসব মরমি সাধকদের সম্পর্কে জানুক। হবিগঞ্জের  লোক সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুক। হবিগঞ্জের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন সম্পর্কে জানুক। হবিগঞ্জের মরমি সাধক ও ঐহিহ্যবাহী লোক সংস্কৃতিকে সারাদেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতেই আমরা এ আয়োজন করেছি। আমরা আশা করব প্রতিবছর এ ধরণের উৎসবের আয়োজন করা হবে।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর