× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টাকার অভাবে ফিরিয়ে আনা হলো অগ্নিদগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা সালমাকে

দেশ বিদেশ

রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে হতদরিদ্র গৃহবধূ সালমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। টানা ৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নিতে তার ব্যয় হয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা। অর্থের অভাবে চিকিৎসাসেবা নিতে না পারায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সালমা বেগম। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। সালমা মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়ার স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ বাড়িতে মাটির চুলায় রান্না করতে গিয়ে অসাবধানতার ফলে তার গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় ঘিওর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মানিকগঞ্জ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সালমাকে ভর্তি করা   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, সালমার শরীরের নিচের অংশের ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসায় থাকতে হবে। তবে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হবে। টানা ৫ দিন মেডিকেল কলেজের বান ইউনিটে চিকিৎসা নিতে তার ব্যয় হয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা বলেন, সালমাকে সুস্থ করতে হলে আরো উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র স্বামীর পক্ষে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় বুধবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বান ইউনিট থেকে  সালমাকে বাড়িতে ফেরত আনা হয়। সালমার স্বামী দরিদ্র কৃষক রুবেল মিয়া জানায়, তার নিজের কোনো জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে তিনি দিনাতিপাত করেন। তাদের সংসারের দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে সালমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এমতাবস্থায় তিনি নিরুপায় হয়ে বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরানো সালমা জানায়, তার বাবা-মা মারা গেছেন বহু বছর আগে। চাচার কাছে মানুষ হয়েছে তিনি। চাচাই তাকে দরিদ্র কৃষকের কাছে বিয়ে দেন। তার আত্মীয়-স্বজন বলতে তেমন কেউ নেই। টাকার অভাবে তিনি০ চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় সালমা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জের এমপি জাহিদ মালেক স্বপন, নাঈমুর রহমান দূর্জয় ও মমতাজ বেগমের সাহায্য কামনা করেছেন। এলাকাবাসী বলেন, যেহেতু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জের বাসিন্দা। সেহেতু স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে দিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে বিনা খরচে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর