× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফের গাপটিলের সেঞ্চুরি, টাইগারদের সিরিজ হার

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে সিরিজ  খোয়ালো বাংলাদেশ দল। এবারও হারের কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২২৬ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। জবাবে ৮৩ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় ব্লাকক্যাপসরা। প্রথম ওয়ানডেতেও ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের একই পরিনতি।  নেপিয়ারের হারের চিত্র যেন ফিরে এসেছিল ক্রাইস্ট চার্চে। এই ম্যাচেও টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের মুখোমুখি হতে হয় বৈরী কন্ডিশনের। কনকনে ঠান্ডা আবহওয়া, আর তিব্র বাতাস।
যেখানে মোটেও অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ দল। সেখানে দলের বির্পয়ে ফের লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ব্যাট থেকে এসেছে টানা দ্বিতীয় ফিফটি। সাব্বির রহমানও খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ্য। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবারো পরিবর্তন হলনা ইতিহাস। এখানে ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত  চারটি ওয়ানডে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। এখন শেষ ম্যাচে হার এড়াতে পারলে হয়তো হতে পারে মান রক্ষা।
বৈরী কন্ডিশনে ব্যাট করতে নেমে দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ৫ রানে আউট হলেন। তবে ছিলেন বেশ সতর্ক তাই খেলেছিলেন ১৫ বলও কিন্তু টিকে থাকতে পারেননি। অবশ্য  তার আগেই মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার যেন ছিল ভিষন তাড়াহুড়া। খেলেছেন মাত্র ৪ বল। বলতে গেলে প্রথম ওয়ানডের  যেন টিভি রিপ্লেই হচ্ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। এবারও তিনে নেমে দলের হাল ধরলেন সৌম্য সরকার। তবে আউট হলেন ২২ রান করে। আগের ম্যাচে করেছিলেন ৩০ রান। এরপর দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম হাল ধরেছিলেন। তাই আশাও দেখেছিল দল। নিজের ২০০ তম ওয়ানডে ম্যাচে দুই বার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ রানেই তিনি খেই হারালেন। দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। এরপর মিঠুনকে সঙ্গ দিতে এসে ৭ রানেই বিদায় নিলেন দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে ৭০ রানে ৫উইকেট হারানো দলের জন্য লড়াই চালিয়ে গেলেন মিঠুন। ৭ চার ও এক ছয়ে ৬৯ বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিতে এসে সাব্বির রহমান ৬৫ বলে করেন ৪৩ রান। এরপর মিরাজ ১৬, সাইফউদ্দিন ১০ মাশরফি ১৩ রান করে আউট হন।
জবাব দিতে নেমে আবারো টাইগার বোলারদের পাত্তাই দিলেননা গাপটিল। প্রথম ওয়ানডেতে ১১৭ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হলেন ১১৮ রান করে। তবে দলকে নিশ্চিত জয়ের পথ দেখিয়ে।  যদিও ওপেনার হেনরি নিকোলসকে ১৪ রানে ফিরিয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন মুস্তাাফিজুর রহমান। কিন্তু পরের জুটি ছাড়ায় শতরান। এক পাশে আগ্রাসী ব্যাট করেছেন গাপটিল। আরেক প্রান্তে কেন উইলিয়ামসন ছিলেন নির্ভর। দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে ওঠে ১৪৩ রানের জুটি। ৭৬ বলে গাপটিল ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে স্পর্শ করলেন নাথান অ্যাস্টলকে। ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানোর  গাপটিলের ইনিংস থামান মুস্তাফিজ। ততক্ষণে কিউইদের জয় শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল। ৬৫ রান করে উইলিয়ামসন ফিরেছেন দলের জয় নিয়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর