× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ

বাংলারজমিন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

উপজেলা নির্বাচনে মৌলভীবাজারে সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থী নমিনেশন পেপার উত্তোলন করেছেন। কেউ কেউ সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে শর্ত মতে যে সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের প্রয়োজন তা করছেন। তাই শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার সদরে মনোয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, শ্রীমঙ্গলে বর্তমান চেয়ারম্যান রণধীর দেব, কমলগঞ্জে অধ্যাপক রফিকুর রহমান, রাজনগরে আছকির খান, কুলাউড়ায় আসম কামরুল ইসলাম, জুড়ীতে গুলশান আরা মিলি ও বড়লেখায় রফিকুল ইসলাম সুন্দর। এর মধ্যে ৬ জনই বর্তমান চেয়ারম্যান। কেন্দ্রের মনোনয়ন না পেয়ে এখন দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে নেমেছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফি আহমদ সলমান, রাজনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন মিছবাহুদ্দোজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছাতির মিয়া, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত, সাবেক ছাত্র নেতা শাহজাহান খান, কমলগঞ্জে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, জুড়ীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও বড়লেখা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। তারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও সাধারণ ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন। এ দিকে বড়লেখায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুয়েব আহমদ দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচনে নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, দল নিষেধ করে নাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে। তা ছাড়া ভোটারদের চাহিদাও সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে। তিনি জানান, আমি তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে। জুড়ীর বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি মুঠোফোনে বলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সমর্থনে আমার নৌকা প্রতীক পাওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্র আমাকে মনোনয়ন না দিলেও সাধারণ ভোটারের মতামত উপেক্ষা করার এখতিয়ার আমার নেই। যে কারণে আমার নির্বাচনের বাইরে থাকার সুযোগ নেই। রাজনগর উপজেলা মনসুরনগর ইউনয়নের চেযারম্যান ও রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিলন বখত মুঠোফোনে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। একইভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাতির মিয়াও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজ ইউনিয়নের মতামত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই দুই প্রার্থী বলেছেন মাঠে যেহেতু বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী নেই তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাদের বিশ্বাস দল নমনীয় আচরণ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর