ডিজিটাল দুর্নীতি যারা করে, তারা স্মার্ট হওয়ায় ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে সবাইকে কান খাড়া রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সব পক্ষকেই কান খাড়া রাখতে হবে। কেননা প্রযুক্তির বিষয়ে আমরা যেমন স্মার্ট, যারা দুর্নীতি ও অন্যায় করে তারাও স্মার্ট। ডিজিটাল দুর্নীতি কেবল আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ব্যথা একটু বেশি লাগে। কারণ, চুরি হলে আমাদের সবই চুরি হয়ে যায়। আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় গরিব।
গতকাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ইনোভেশন ফর প্রোভার্টি অ্যাকশনের ডিরেক্টর রেবেকা রোজি। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এপিএমইএ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেবি ওয়াটকিংস। আরও বক্তব্য রাখেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ট্রেজারি বোর্ডের স্পেশাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর ইমরান রহমান ও ইউল্যাবের ডিরেক্টর সাজিদ অমিত। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা শিল্পের মধ্যে ঢুকছি, গ্রামে শিক্ষা ঢুকেছে এবং প্রযুক্তির মধ্যে ঢুকতে শুরু করেছি। কিন্তু কৃষিতে এত কিছুর জায়গা হচ্ছে না। ফলে মানুষ শহরমুখী হচ্ছেন। ফলে একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। তরুণদের মন-মানসিকতাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। অনেকে বেকার থাকবে, কিন্তু গ্রামে যেতে চায় না। তাদের কাজ দেয়া হলে সেটি পছন্দ হয় না। তারা আগের দিনের মতো চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতে চায়। কিন্তু সেটি করলে হবে না। যার যে যোগ্যতা-দক্ষতা, তাকে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির বলেন, গ্রামীণ মানুষদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষভাবে কাজ করছে বিকাশ। এখন একজন রিকশাচালকও বিকাশে টাকা পাঠান। এর মাধ্যমে নিজের অজান্তেই তিনি একজন শিল্পপতিকে সহায়তা করছেন। অর্থাৎ তার টাকাটা ব্যাংকে থাকছে। ফলে সেখান থেকে বিনিয়োগ বাড়ছে।