ক্রিকেটকে এজন্যই বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর টেস্ট ক্রিকেটটা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। দলীয় ২২৬ রানে নবম উইকেট খুইয়ে হারের মুখে শ্রীলঙ্কা। জয় থেকে তখনও বিশাল ৭৮ রান দূরে লঙ্কানরা। হাতে ছিল এক উইকেট। তবে দশম উইকেটে রেকর্ডগড়া জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেন কুসাল পেরেরা ও এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান বিশ্ব ফার্নান্ডো। রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
আগের দিনের ৮৩/৩ সংগ্রহ নিয়ে গতকাল খেলতে নামে লঙ্কানরা। ব্যক্তিগত ১২ রানে দিন শুরু করেন শ্রীলঙ্কার পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান কুসাল পেরেরা। আর ম্যাচ শেষ করেন ক্যারিয়ার সেরা হার না মানা ১৫৩ রানের ইনিংস খেলে। ৬ রানের ইনিংসে ২৭ বল মোকাবিলা করেন এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান বিশ্ব ফার্নান্ডো। ৭৮ রানের জুটিতে তারা ভেঙে দেন ২৫ বছরের পুরনো রেকর্ড। টেস্টের দশম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান নিয়ে জয়ের রেকর্ড এটি। এমন আগের রেকর্ডে ১৯৯৪ সালে করাচি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দশম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন ইনজামাম উল হক ও মুশতাক আহমেদ। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৩৫ রানের জবাবে ১৯১ রানে গুঁড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। একমাত্র অর্ধশতকটি আসে কুসাল পেরেরার ব্যাট থেকেই। দ্বিতীয় দফায় ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির (৯০) ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ থামে ২৫৯ রানে। শ্রীলঙ্কার ২২ বছর বয়সী অভিষিক্ত বাঁ-হাতি স্পিনার লাসিথ এমবুলদেনিয়া নেন পাঁচ উইকেট। বল হাতে চার উইকেট নেন পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডো। এতে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৩০৪ রানের টার্গেট দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কার । ২০০ বলে ১৫৩ রানের হার না মানা ইনিংসে ১২টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান ম্যাচসেরা খেলোয়াড় কুসাল পেরেরা।
দশম উইকেটে ম্যাচজয়ী সর্বোচ্চ রানের জুটি
জুটি রান প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
পেরেরা-বিশ্ব ফার্নান্ডো (শ্রীলঙ্কা) ৭৮* দ. আফ্রিকা ডারবান ২০১৯
ইনজামাম-মুশতাক (পাকিস্তান) ৫৭* অস্ট্রেলিয়া করাচি ১৯৯৪
নার্স-শেরওয়েল (দ. আফ্রিকা) ৪৮* ইংল্যান্ড জোহানেসবার্গ ১৯০৬
বার্নস-ফিল্ডার (ইংল্যান্ড) ৩৯* অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯০৮
জনস্টন-রিং (অস্ট্রেলিয়া) ৩৮* ও. ইন্ডিজ মেলবোর্ন ১৯৫১