ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) ২০১৯ মৌসুম শুরু হবে আগামী মাসেই। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সিসিডিএম। ১৮ই ফেব্রুয়ারি ডিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই আসরে প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দল বিকেএসপি ও উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব অংশ নিয়েছিল বিশেষ ড্রাফটেও। তারই মধ্যে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় প্রায় ৮-১০ জন ক্রিকেটারকে। তারা সবাই গেলবছর রেলিগেশনে নেমে যাওয়া দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ক্রিকেটার। কলাবাগানের কাছে পারিশ্রমিক পাওনা রয়েছে তাদের। এর মধ্যে মুক্তার আলী ও নাবিল সামাদ পাবেন ৪ লাখ টাকারও বেশি।
বাকি ক্রিকেটারদের পাওনাও কম নয়। নানা অজুহাতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে প্রায় এক বছর পার করে দিয়েছে। বর্তমানে তারা ক্রিকেটারদের ফোনও ধরছে না বলে অভিযোগ ক্রিকেটারদের। এ নিয়ে তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শরণাপন্ন হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গতকাল আশ্বাস মিলেছে আজ হয়তো তাদের টাকা দেয়া হবে। এ নিয়ে সিসিডিএম ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ আশার কথাও শুনিয়েছেন। কলাবাগানকে একদিনের মধ্যেই সকল পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তা না হলে বিসিবি ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। তিনি বলেন, ‘বোর্ড মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ড্রাফটের আগে সকল পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে হবে। দুইটি দল ছিল, এর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়ন সকল পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দিয়েছে। এখন থাকছে কলাবাগান। তাদের বলা হয়েছে, ডেডলাইন ১৭ই ফেব্রুয়ারি। যেহেতু ১৮ তারিখ আমাদের ড্রাফট। তাই তার আগেই পরিশোধ করতে হবে। যদি কালকের (আজ) মধ্যে পরিশোধ না করা হয় তাহলে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
অন্যদিকে এমন আশ্বাসে খুব একটা ভরসা রাখতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে নাবিল সামাদ বলেন, ‘আশ্বাস তো পেয়েছি যে কাল (আজ) টাকা দিবে। কিন্তু এতদিন ঘোরার পর ভরসা রাখতে পারছি না। দেখি কাল যদি তারা টাকা সঠিকভাবে পরিশোধ না করে তাহলে আমরা সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানাবো।’ একই কথা জানিয়েছেন অন্য ক্রিকেটাররাও। টাকা না পেলে তারা যাবেন কঠিন অবস্থানে। শেষ পর্যন্ত যদি ক্রিকেটাররা আজ পাওনা টাকা না পায় তাহলে সিসিডিএম কি ব্যবস্থা নিবে তা নিয়ে তৌহিদ বলেন, ‘বোর্ড তো অবশ্যই গ্যারান্টর। ড্রাফটের নিয়ম অনুযায়ী তো ব্যাপারটা আছেই। এবং এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল। টিম গুলোকে টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল করা হয়েছিল। যেহেতু বোর্ড একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সিসিডিএম এখন কিছু বলতে পারবো না। এরপর ১৭ তারিখের পর ক্লিয়ার করলে তো হয়েই গেল আর ক্লিয়ার না করলে বোর্ডকে জানানো হবে।’