× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিউজিল্যান্ডে আরেকটি সিরিজ হার

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ হারের ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারলো না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। গতকাল ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ৮ উইকেটে। এই ম্যাচে যেন ছিল নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডের হারের ছায়া। সেই ম্যাচেও হারের ব্যবধান ছিল একই। টাইগারদের ছুড়ে দেয়া ২২৬ রানের লক্ষ্য কিউইরা টপকে যায় ৮৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এ ম্যাচেও জয়ের নায়ক টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ২০০৭ থেকে এই পর্যন্ত কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ৪ ওয়ানডে সিরিজে হারলো টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলকে মুখোমুখি হতে হয় বৈরী কন্ডিশনের।
কনকনে ঠাণ্ডা আবহাওয়া, আর তীব্র বাতাস। যেখানে মোটেও অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ দল। সেখানে দলের বিপর্যয়ে ফের লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ব্যাট থেকে এসেছে টানা দ্বিতীয় ফিফটি। সাব্বির রহমানও খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। এখন শেষ ম্যাচে হার এড়াতে পারলে হয়তো হতে পারে মান রক্ষা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ৫ রানে আউট হলেন। তবে ছিলেন বেশ সতর্ক খেলেছিলেন ২৮ বলও। কিন্তু টিকে থাকতে পারেননি। অবশ্য তার আগেই মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার যেন ছিল ভীষণ তাড়াহুড়া। খেলেছেন মাত্র ৪ বল। এরপর গতকালও তিনে নেমে দলের হাল ধরলেন সৌম্য সরকার। তবে আউট হলেন ২২ রান করে। আগের ম্যাচে করেছিলেন ৩০ রান। এরপর  ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম হাল ধরেছিলেন। তাই আশাও দেখেছিল দল। নিজের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে দুই বার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৪ রানেই তিনি খেই হারালেন। দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। এরপর মিঠুনকে সঙ্গ দিতে এসে ৭ রানেই বিদায় নিলেন দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে ৭০ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের জন্য লড়াই চালিয়ে গেলেন মিঠুন। ৭ চার ও এক ছয়ে ৬৯ বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। তাকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন সাব্বির রহমান ৬৫ বলে করেন ৪৩ রান। ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে নাটকীয়ভাবে সাব্বির ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। সুযোগ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। প্রথম ওয়ানডেতে তা কাজে লাগাতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা হলেও দলের জন্য অবদান রেখেছে তার ব্যাট। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ১০ ও অধিনায়ক মাশরাফি ১৩ রান করে আউট হলে ২২৬ রানেই গুটিয়ে যায় দল।
জবাব দিতে নেমে আবারো টাইগার বোলারদের পাত্তাই দিলেন না গাপটিল। প্রথম ওয়ানডেতে ১১৭ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হলেন ১১৮ রান করে। তবে দলকে নিশ্চিত জয়ের পথ দেখিয়ে।  যদিও ওপেনার হেনরি নিকোলসকে ১৪ রানে ফিরিয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু পরের জুটি ছাড়ায় শতরান। এক পাশে মারকুটে ব্যাট করেছেন গাপটিল। আরেক পাশে কেন উইলিয়ামসন ছিলেন নির্ভার। দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে ওঠে ১৪৩ রানের জুটি। ৭৬ বলে গাপটিল ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে তিনি স্পর্শ করলেন নাথান অ্যাস্টলকে। ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো গাপটিলের ইনিংস থামান মোস্তাফিজ। ততক্ষণে কিউইদের জয় শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল। ৬৫ রান করে উইলিয়ামসন ফিরেছেন দলের জয় নিয়ে। এত কম পুঁজি নিয়ে টাইগার বোলাররাও ছিলেন অসহায়। অধিনায়কের ব্যবহার করা ৭ বোলারের মধ্যে একমাত্র উইকেট পেয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ ওভারে ৪২ রান খরচ করে নিয়েছেন দুই উইকেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর