× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রেক্সিটের বাকি ৩৯ দিন / কী আছে বৃটেনের ভাগ্যে?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, রবিবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

বিচ্ছেদ নিয়ে ইউরোপীয় ইউয়নের সঙ্গে কোনো চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ২৯শে মার্চ বৃটেনকে অবশ্যই ইইউ ছাড়তে হবে। সে অনুযায়ী, চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য বৃটেনের হাতে সময় আছে মাত্র ৩৯ দিন। ব্রেক্সিটের সঙ্গে বৃটিশদের ভাগ্য জড়িত থাকলেও বৃটেন এখনো পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে, সে সম্ভাবনাও কম। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার আদৌ ঠিক হচ্ছে কি না সে প্রশ্নে বৃটেনে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিও উঠেছে। এমন পরিস্থিতে ব্রেক্সিট নিয়ে নানাবিধ সংশয় ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০১৬ সালের গণভোট অনুসারে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য বৃটিশ সরকার ইইউর সঙ্গে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক চুক্তি পৌঁছতে পারেনি। ব্রেক্সিট পরবর্তী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়েও মতবিভেদ রয়েছে। পার্লামেন্টে চেকার্সের খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে শোচনীয় পরাজয় দেখেছেন।
এমনকি নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্যও প্রধানমন্ত্রীর খসড়া চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কোণঠাসা অবস্থায় থাকা তেরেসা মে তার ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মূলত, আগের খসড়া চুক্তিতেই সামান্য পরিবর্তন এনে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাভের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এতে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হার্ড কাস্টমস সীমান্ত সৃষ্টিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে তিনি তার পরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্ট আরো একবার পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। ইকোনোমিস্টস জানিয়েছে, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের ফল হবে ভয়াবহ। এরমধ্যেই তেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বোঝাতে চেষ্টা করবেন যে পার্লামেন্টে হারলেও তিনি তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করবেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তেরেসা মে পার্লামেন্টে ইইউ নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা তুলে ধরবেন এবং এমপিরা তার পরিকল্পনার ওপর আবারো ভোট দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইইউ নেতারা আর মের ওপর ভরসা করতে পারবেন না। আবার বৃটেন যাতে আয়ারল্যান্ড সীমান্তের ‘ব্যাকস্টপের ফাঁদে’ আটকে না থাকে সে চেষ্টা করতে হবে মে’কে। আর সে কারণেই ইইউর সঙ্গে আলোচনা করে ব্রেক্সিট চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি। সব মিলিয়ে তার সামনে এখন রয়েছে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। আর এ নিয়ে দোলাচলে রয়েছে বৃটিশদের ভাগ্যও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর